বাড়িতে কুকুর-বিড়াল পোষার শখ অনেকেরই থাকে। একটা সময় এসব প্রাণীদের প্রতি গভীর ভালোবাসাও জন্মে যায়। কিন্তু যদি পোষ্য কুকুর বা বিড়ালের প্রতি সেই ভালোবাসার জেরে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক এবং বিয়ে পর্যন্ত ভেঙে দেন কেউ, সেটা একটু অবিশ্বাস্যই শোনা যায় বটে।
তবে অবিশ্বাস্য হলেও সম্প্রতি এমনটাই ঘটেছে ভারতে। দেশটিতে পোষ্য কুকুরের জন্য দীর্ঘদিনের প্রেম এবং বিয়ে ভেঙে দিয়েছেন এক তরুণী। গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সেই ঘটনা। তবে পোষ্য কুকুরের প্রতি তরুণীর এই ভালোবাসাকে আবার অন্যকিছু ভেবে ভুল করবেন না।
আসলে ঘটনা হলো, এক যুবকের সঙ্গে দীর্ঘ সাত বছরের প্রেম প্রিয়াঙ্কা নামে ওই তরুণীর। সম্প্রতি তারা পারিবারিকভাবে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের দিনক্ষণও চূড়ান্ত হয়। কিন্তু সমস্যা বাধে তরুণীর পোষা কুকুরকে নিয়ে।
ওই তরুণী বায়না ধরেন, পোষ্য কুকুরকে তিনি সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন স্বামীর বাড়িতে। কিন্তু হবু শাশুড়ির সাফ কথা, তাদের বাড়িতে আগে থেকেই একটা পোষা কুকুর আছে, আরেকটাকে তোলা যাবে না। বিপাকে পড়েন প্রিয়াঙ্কা। একদিকে তার অতি আদরের পোষ্য, অন্যদিকে সাত বছরের প্রেম-বিয়ে। ভয়ানক টানাপোড়েনের মধ্যে থাকা তরুণী শেষ পর্যন্ত তার পোষ্যকেই বেছে নেন।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (টুইটার) প্রিয়াঙ্কা তার এই গল্প তুলে ধরে লেখেন, তিনি ও তার প্রেমিক বিয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন। দুই পরিবার থেকে আপত্তিও ছিল না। কিন্তু বিয়ের কথাবার্তা শুরু হওয়ার পর তার প্রেমিকের আচরণে পরিবর্তন দেখতে পান তিনি।
প্রিয়াঙ্কা লেখেন, বিয়ের কথাবার্তা শুরু হওয়ার পর কোনো বিষয়ে মতভেদ হলে তার প্রেমিক তার ও তাদের সম্পর্কের পক্ষে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তাদের নিজেদের মতভেদ ছিল না। কিন্তু হবু শাশুড়ির হস্তক্ষেপ তাকে কষ্ট দিয়েছে।
তরুণী জানান, তার মা অসুস্থ। মায়ের পক্ষে তার পোষা কুকুরের যত্ন নেওয়া সম্ভব ছিল না। প্রিয়াঙ্কা তাই শাশুড়িকে রাজি করানোর চেষ্টা করেছিলেন। কারণ, কুকুরটি তার কাছে সন্তানের মতো। তাকে ছেড়ে থাকা সম্ভব না। কিন্তু শাশুড়ি রাজি হননি। তাই বাধ্য হয়েই তিনি বিয়ে ভেঙে দেন।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়