মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর প্রতি যথেষ্ট সম্মান দেখা হয় না, আর তাতে কষ্ট পান কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম। তিনি বলেছেন, মওলানা ভাসানীর জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতো না।রবিবার সকালে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন বঙ্গবীর।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, অতি সম্প্রতি বাংলাদেশ একটা মারাত্মক পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু অতীতকে বর্জন করে, অস্বীকার করে, এই পরিবর্তন যদি কেউ করতে চায়, তাহলে আহাম্মকের স্বর্গেই বাস করছে। দুদিন পরে তাদেরও এ রকম হতে হবে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে মওলানা ভাসানীর ভ’মিকা এবং তার প্রতি অবহেলার কথা বলতে গিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘যে মানুষটির (মওলানা ভাসানীর) জন্ম না হলে আমরা আজকে বাংলাদেশের নাগরিক হতাম না। যে মওলানা ভাসানীর জন্ম না হলে পাকিস্তান হতো না, পাকিস্তান না হলে বাংলাদেশ হতো না। বাংলাদেশ না হলে আজকে আমাদের এই অবস্থা হতো না। তার অনাদর দেখে খুব কষ্ট লাগে, খুব খারাপ লাগে।’
বঙ্গবীর বলেন, ‘মওলানা ভাসানী পীরে কামেল মানুষ। এ রকম অলি এ রকম জনগণের বন্ধু এই উপমহাদেশে খুব কম আছে। আমি আল্লার কাছে প্রার্থনা করি তার উসিলায় বাংলাদেশের মানুষকে যেন শান্তিতে রাখেন।’
সরকার যেন দেশের মানুষের কথা বিবেচনা করেন সেই অনুরোধ জানিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, ‘ক্ষমতা কারও জন্য চিরস্থায়ী নয়। দেশের মানুষের কথা চিন্তা করুন। দেশের মানুষকে সম্মান করুন। অতীতকে সম্মান করুন। যাদের এই দেশের জন্য অবদান আছে তাদের যথাযথ যোগ্য সম্মান দিয়ে রাষ্ট্র চালানোর চেষ্টা করুন।’
এই দেশের মানুষ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার চায় বলে মন্তব্য করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘শেখ হাসিনার ন্যক্কারজনক পতনের প্রধান কারণ তিনি মানুষের ভোটাধিকারকে সম্মান করেননি। পরপর বেশ কয়েকবার মানুষকে তার ভোটা দিতে দেননি। দীর্ঘ সময় মানুষকে ভোটাধিকার ছাড়া রাখলে এখন যারা আছে তাদের পরিণতি খুব ভালো হবে না. এটা আমার বিশ্বাস।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের সখীপুর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক মেয়র সানোয়ার হোসেন সজীবসহ অন্য নেতারা।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়