এ দেশের অতি পরিচিত একটি ফল পেয়ারা। গ্রাম-শহর সবখানে সারা বছরই পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায় এই ফল। খেতে মিষ্টি ও রসালো পেয়ারা ভিটামিন এ, বি, কে, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাসসহ বহু গুণে সমৃদ্ধ।
বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে দারুণ কার্যকরী এই ফল। কিন্তু পেয়ারারও আছে প্রকার ভেদ। অনেকেরই প্রশ্ন, সব ধরনের পেয়ারায় কি একই রকম পুষ্টিগুণ থাকে?
এই প্রশ্নের কারণ হলো বাজারে মূলত দুই ধরনের পেয়ার পাওয়া যায়। যেটি খুব বেশি পরিমাণে পাওয়া সেটির গায়ের রং সবুজ, ভেতরে সাদা। আরেক জাতের পেয়ারা পাওয়া যায় গায়ের রং সবুজ এবং লাল দুই-ই হতে পারে, তবে ভেতরে লাল।
এখন প্রশ্ন হলো, এই দুই ধরনের পেয়ারা কি এক? পুষ্টিগুণ কি দুটিতেই একই রকম? এই প্রশ্নের উত্তরে যাওয়ার আগে দেখে নেওয়া যাক পেয়ারা ঠিক কী কী কাজে লাগে।
রক্তে শর্করার ভারসাম্য রক্ষা করতে পেয়ারা দারুণ কাজে লাগে। হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও পেয়ারা দারুণ কাজে লাগে। এছাড়া পরিপাক ক্রিয়ায় সহায়তা করে। ওজন কমাতেও সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। দাঁত, ত্বক এবং চুলের জন্যও উপকারী।
শুধু এগুলোই নয়। সাম্প্রতিক কিছু গবেষণা বলছে, পেয়ারার বেশ কয়েকটি উপাদান ক্যানসারের মতো মারাত্মক অসুখকে ঠেকিয়ে রাখতেও সাহায্য করে। এই হলো মোটামুটি পেয়ারার গুণ। এবার ফিরে আসা যাক, সেই প্রশ্নে— কোন পেয়ারা বেশি ভালো?
পুষ্টিবিদদের মতে, লাল শাঁসযুক্ত পেয়ারায় পানি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। তবে অন্য পেয়ারার তুলনায় শর্করা, ভিটামিন সি-এর পরিমাণ কম। সাদা শাঁসযুক্ত পেয়ারায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকলেও তা লাল পেয়ারার মতো অতোটা নয়।
আবার ভিটামিন এ, সি, ওমেগা ৩, ওমেগা ৬ পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ডায়েটারি ফাইবারের মতো বহু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য লাল পেয়ারা খুব ভালো। এবার আপনিই ঠিক করুন, আপনার জন্য কোনটি ভালো।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়