Sunday, November 17

এই প্রজন্মের সব শিল্পীই খুব মেধাবী: রুনা লায়লা

 


কিংবদন্তিতুল্য কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা যখন সতেরো বছরের তরুণ, তখন ১৯৬৯ সাল। এই ভূখণ্ডে সেবারও ঘটে যায় এক গণঅভ্যুত্থান। আজ (১৭ নভেম্বর) জন্মদিনের লগ্নেও অভূতপূর্ব এক গণঅভ্যুত্থানের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। তবে তার তরুণ মনে জমেছে কিছুটা ধূলা। বয়স প্রসঙ্গে প্রতি বছর প্রশ্নের উত্তর শিল্পীর জবাব – ১৭। সতেরো নভেম্বর জন্ম বলে রসিকতাচ্ছলে ১৭ বলেন।

শিল্পীদের বয়স নাকি ওরকম আটকে থাকে একটা নির্দিষ্ট বয়সে তবে এবার সহাস্যে বলেন, ‘বয়স কিছুটা বেড়েছে। এখন আমি ২৭।’ 

এই যে অল্প সময়ের ব্যবধানে বয়স দশ বছর বেড়ে গেল, কীভাবে সেসব পরে জানানো যাবে। আগে স্মরণ করিয়ে দেওয়া যাক রুনা লায়লার ফেলে আসা দিনগুলোর কথা। ভারতীয় উপমাহাদেশের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী তিনি। বাংলা তো বটেই, উর্দু, হিন্দি, পাঞ্জাবি, সিন্ধি, গুজরাটি, বালুচ, পশতু, ফারসি, আরবি, স্প্যানিশ, ফরাসি, ইংরেজি ভাষাসহ ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারের বেশি গান গেয়েছেন তিনি। ‘কখন বাজে বারোটা’, ‘যখন থামবে কোলাহল’, ‘বন্ধু তিন দিন’, ‘কাল তো ছিলাম ভালো’ গানগুলো নব্বইয়ের দশকে ছিল ‘ভাইরাল’ গান। তার কণ্ঠেই ‘দামাদাম মাস্ত কালান্দার’ আমাদের কানে পৌঁছেছিল। সেই শিল্পীর আজ ৭২তম জন্মদিন। রসিকতা করে সংখ্যাটি উল্টে তিনি আমাদের বললেন, ‘বয়স কিছুটা বেড়েছে। এখন আমি ২৭।’

কীভাবে কাটাবেন আজ দিনটা এমন এক প্রশ্নে গণমাধ্যমকে রুনা লায়লা বলেন, বাসায় পারিবারিক আয়োজনে সবার সঙ্গে কাটাব। জন্মদিন বলে বাড়তি তেমন কোনো আয়োজন নেই।

তবে কিংবদন্তিতুল্য রুনা লায়লার জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজন রেখেছে গণমাধ্যম। প্রতি বছরের মতো আজও বিভিন্ন চ্যানেলে তাকে ঘিরে নানান অনুষ্ঠান থাকবে। আর স্বশরীরে তিনি গিয়ে হাজির হবেন চ্যানেল আইতে। গান শোনাবেন, চারণ করবেন সংগীতজীবনের নানান স্মৃতি। তাকে শোনা যাবে বেতারেও। বাংলাদেশ বেতার আজ তাকে নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে। একজন শিল্পীর জীবনে আর কী চাওয়া থাকতে পারে?

এই প্রশ্নটি করলে রুনা লায়লা বলেন, সংগীতজীবন নিয়ে আর কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। কোনো কিছু প্রাপ্তির প্রত্যাশাও নেই। শ্রোতা ও অনুরাগীদের যে ভালোবাসা আমি পেয়েছি, তাতেই আমার জীবন পূর্ণ।

নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের উদ্দেশে পরামর্শ চাইলে রুনা লায়লা বলেন, আমার মনে হয়, এই প্রজন্মের সব শিল্পীই খুব মেধাবী। তবে ওদের একটু সুযোগ দরকার। একটু সুযোগ পেলেই তারা অনেক কিছু করতে পারবে, আমার বিশ্বাস। সেই সঙ্গে আরও বলবো, সুযোগ পেতে হলে ওদের পরিশ্রমও করতে হবে। কিন্তু কাউকে না কাউকে তো সুযোগটাও তৈরি করে দিতে হবে। আমার সামর্থ্যে যতটা সম্ভব, ওদের এগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। কেউ আমার কাছে কোনো পরামর্শ চাইতে এলে, আমি তাকে সময় দিই, দিকনির্দেশনা দিই।


শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়