Tuesday, November 5

মার্কিন নির্বাচন: কখন জানা যাবে চূড়ান্ত ফলাফল

 


অবশেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দিনটি এসে গেল। মঙ্গলবার (০৫ অক্টোবর) বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটির পরবর্তী রাষ্ট্রপ্রধান কে হবেন, তা ঠিক করবেন মার্কিন ভোটাররা। বিশ্বের একক ক্ষমতাধর এই দেশটির অভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্রনীতির ওপর বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতি অনেকটা নির্ভরশীল হওয়ায় এই নির্বাচনের দিকে পুরো পৃথিবীর মানুষের নজর থাকবে, তা বলা বাহুল্য।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শুরু হবে ভোটগ্রহণ। তবে ভোটগ্রহণ শুরুর সময়কাল প্রতিটি অঙ্গরাজ্যেই ভিন্ন ভিন্ন। এর কারণে, যেসব অঙ্গরাজ্যের ভোট দ্রুত গণনা হয়, সেসব স্টেটের ফল রাতেই পাওয়া যেতে পারে।

প্রতিটি অঙ্গরাজ্য নিজেদের নিয়ম অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর শুরু হয় ভোট গণনা। তবে সাধারণত অঙ্গরাজ্য ভেদে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা থেকে ভোট গণনা শুরু হতে পারে।  যুক্তরাষ্ট্রে ভোট গণনার সময়ে পার্থক্য দেখা যায়।

কোন কোন নির্বাচনে দ্রুত ফলাফল সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়, আবার কখনো কখনো সময় লাগে। যেমন, ২০১৬ সালের ভোটের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউইয়র্কে তার বিজয়ীর ভাষণ দিয়েছিলেন ভোররাত তিনটের দিকে, উল্লসিত সমর্থকদের সামনে একটি মঞ্চে দাঁড়িয়ে। তবে ২০২০ সালের নির্বাচনে অবশ্য জো বাইডেনকে বিজয়ী ঘোষণা করতে কয়েক দিন সময় লেগে গিয়েছিল।

সব ভোট গণনা করতে সময় লাগায় চীড়ান্ত বিজয়ীর নাম প্রকাশে বিলম্ব হয়েছিল বলে তখন জানিয়েছিল প্রশাসন। তবে পরদিন নাগাদ বিজয়ী প্রার্থীর সম্পর্কে একটি ধারণা পরিষ্কার হতে শুরু করে।

কারণ অঙ্গরাজ্যগুলোয় ভোটের হিসাবে ইলেক্টোরাল কলেজের একটি হিসাব পরিষ্কার হয়ে যায়। কিন্তু সুইং স্টেট হিসাবে পরিচিত কোন রাজ্যে যদি ভোট গণনা বা আইনি ঝামেলা তৈরি হয়, তাহলে বিজয়ী প্রার্থী সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেতে আরও সময় লাগতে পারে।

২০০০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী জর্জ বুশ ও ডেমোক্র্যাট অ্যাল গোরের মধ্যে এত তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল যে তা শেষ পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছিল ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ভোট গণনায়। দুই প্রার্থীর মধ্যে মাত্র কয়েকশ' ভোটের ফারাক ছিল। এ নিয়ে শুরু হয় কয়েক সপ্তাহব্যাপী আইনী যুদ্ধ, যার পরিণামে ভোট পুনর্গণনা করতে হয়। শেষ পর্যন্ত ব্যাপারটা সুপ্রিম কোর্টে গড়ায়।

অবশেষে বুশকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়, ফলে তিনি ফ্লোরিডা রাজ্যের ২৫টি ইলেকটোরাল ভোটের সবগুলো পেয়ে যান। তাতে তার মোট ইলেকটোরাল ভোট দাঁড়ায় ২৭১ এবং বিজয় নিশ্চিত হয়। গোর পপুলার ভোট বেশি পেলেও পরাজয় স্বীকার করে নেন। সব মিলিয়ে কয়েক সপ্তাহ সময় লেগে যায়।

সাধারণ রীতি অনুযায়ী, আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি, যখন বিভিন্ন রাজ্যের ইলেকটোররা বসে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট পদে ভোট দেবেন। এরপর ভোটের ফল ওয়াশিংটন ডিসিতে পাঠানো হবে এবং জানুয়ারির শুরুতে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাইস প্রেসিডেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে গণনা করবেন।


শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়