নিজস্ব প্রতিবেদক ::
মৃত কুতুবজান বিবি সিলেটের কানাইঘাটের আলোচিত মুনতাহা হত্যা মামলার আসামী নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তিনি হত্যাকাণ্ডের দুই মূলহোতা শামীমা বেগম মার্জিয়ার নানী ও আলিফজান বেগমের মা। নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁকে গত রোববার ভোরে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকেলে স্থানীয় মেম্বারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
বার্ধ্যক্যজনিত কারণে বৃহস্পতিবার(১৪ নভেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে তাঁর ছোটভাইয়ের বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন।
মৃত্যুর সংবাদ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে গুজব ছড়ানো হচ্ছে যে, কানাইঘাটের আলোচিত মুনতাহা হত্যার এক নম্বর আসামী কুতুবজান বিবি ইন্তেকাল করেছেন।
কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে- কুতুবজান বিবি এই মামলার আসামী নয়। মূলত তিনি আলোচিত মুনতাহা হত্যা মামলার গ্রেপ্তারকৃত আসামী আলিফজানের মা।
জানা যায়, আলোচিত মুনতাহা হত্যা মামলার অন্যতম আসামি শামীমা বেগম মার্জিয়ার নানী ও আলিফজান বেগমের মা কুতুবজান বিবি ৮৫ বছর বয়সে বার্ধ্যক্যজনিত কারণে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় তার ছোটভাইয়ের বাড়িতে ইন্তেকাল করেন। তার ছোট ভাই অলিউর রহমান কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের নিজ চাউরা গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘কুতুবজান বিবির বিবি কে গত রোববার ভোরে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি বিছনাচারিত ছিলেন। এ ঘটনায় সম্পৃক্ততা না থাকায় তাঁকে ওইদিন বিকেলে স্থানীয় মেম্বারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি বৃহস্পতিবার সকালে মারা গেছেন।’
তিনি আরো জানান, ‘আলোচিত মুনতাহা হত্যা মামলার সকল গ্রেপ্তারকৃত আসামী বিজ্ঞ আদালতের রিমান্ডের নির্দেশ মোতাবেক বর্তমানে কানাইঘাট থানা হাজতে আছেন।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিম আহমদ জানান, ‘উনার বয়স প্রায় ৯০ বছর হবে। বৃহস্পতিবার সকালে তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ রোববার রাতে আমার জিম্মায় উনাকে ছেড়ে দেয়। পরে আমি খোঁজ নিয়ে ভাইদের কাছে দেই। বৃহস্পতিবার যোহরের নামাজের পরে নামাজে জানাজা শেষে তার লাশ দাফন করা হয়েছে।’
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়