Sunday, November 17

রূপচর্চায় অপরাজিতা ফুল

 


চমৎকার নীল রঙের অপরাজিতা ফুলের রয়েছে অনেক ভেষজ গুণ। ফুলটির শুকনো পাপড়ি দিয়ে তৈরি করা যায় নানা রকম পুষ্টিকর পানীয়। তবে অনেকেই জানেন না ত্বক ও চুলের যত্নেও অপরাজিতা ফুলের ভূমিকা রয়েছে। চলুন জেনে নেয়া যাক ত্বকের কী কী উপকারে আসে অপরাজিতা ফুল।

১. ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে: ‘অ্যান্টি-গ্লাইকেশন’ বা ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার মতো যথেষ্ট উপাদান রয়েছে অপরাজিতা ফুলে। যা মুখের উপর সহজে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।

২. কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে: ত্বক টান টান রাখার জন্য শরীরের নিজস্ব প্রোটিন— যেমন কোলাজেন, ইলাস্টিনের পরিমাণ ভালো হওয়া প্রয়োজন। অপরাজিতা ফুলের মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন করার যে নিজস্ব প্রক্রিয়া, তা উদ্দীপিত করতেও সাহায্য করে।

৩. ত্বকের জেল্লা বৃদ্ধি করে: ফেস সিরাম বা হাইলাইটার ব্যবহার না করেও স্বাভাবিকভাবে ত্বকে জেল্লা ধরে রাখতে চান? অপরাজিতা ফুলের গুণে সে স্বপ্ন সত্যি হবে। এই ফুলের নির্যাসে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে, যা ফ্রি র‌্যাডিক্যালের হাত থেকে ত্বকের ক্ষয়ক্ষতি আটকাতে পারে।

৪. অ্যালার্জি, প্রদাহ নিরাময় করে: রোদ থেকেও ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা হয়। অ্যালার্জি, র‌্যাশ কিংবা প্রদাহজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অপরাজিতা ফুল ব্যবহার করা যায়। কারণ, অপরাজিতা ফুল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানে ভরপুর।

৫. স্ক্যাল্পে রক্ত চলাচল ভালো হয়: শুধু ত্বক নয়, চুলের জন্যও ভালো অপরাজিতা ফুল। মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এই ফুলটির যথেষ্ট অবদান রয়েছে। স্ক্যাল্পে রক্ত চলাচল ভালো হলে নতুন চুল গজানোর কাজটিও সহজ হয়।

ত্বকে বা চুলে কীভাবে মাখবেন অপরাজিতা ফুল

ফুলের নির্যাস সংগ্রহ করে তা শুকিয়ে বাজারে বিক্রি করা হয়। ক্রিমের সঙ্গে মিশিয়ে মাখা যেতে পারে। আবার, মাস্ক হিসেবেও তা ব্যবহার করা যায়। চুলের ক্ষেত্রে অপরাজিতা ফুলের নির্যাস দিয়ে তৈরি সিরাম মাখা যেতে পারে। অপরাজিতা ফুলের পাপড়ি দিয়ে তৈরি চা স্বাভাবিক তাপমাত্রা এলে, সেই তরল দিয়ে চুল ধুয়েও ফেলা যায়।


শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়