সাবেক সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় মহাজোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে পশ্চিম ধানমন্ডি থেকে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। আমুর বিরুদ্ধে হত্যাসহ ১৫টি মামলা রয়েছে।
ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) তালেবুর রহমান ঢাকা টাইমসকে জানিয়েছেন, আমির হোসেন আমুকে ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হবে।
দুপুরে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘সরকার পতনের পর থেকে আমু পলাতক ছিলেন। তাকে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হচ্ছিল। আজ তার অবস্থান শনাক্তের পর ধানমন্ডি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ বহু মামলা রয়েছে। ডিবি কার্যালয়ে আনার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও তথ্য মিলবে।’
কোন মামলায় আমুকে গ্রেপ্তার দেখানো হতে পারে জানতে চাইলে ডিবিপ্রধান বলেন, ‘এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তাকে ডিবিতে আনা হচ্ছে। পরে বিস্তারিত জানাানো সম্ভব হবে।’
আমুর জীবনবৃত্তান্ত থেকে জানা গেছে, তিনি ১৯৭৩ সালে ঝালকাঠি ও রাজাপুর নির্বাচনি এলাকা থেকে সংসদ সদস্য হন। এছাড়া ২০০০ সালের উপনির্বাচনে ঝালকাঠি-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের খাদ্যমন্ত্রীর (টেকনোক্র্যাট) দায়িত্ব পান আমু। ২০১৪ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য হয়ে তিনি শিল্পমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমু ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ (মালেক) থেকে। পরের যে নির্বাচনগুলোয় আওয়ামী লীগ অংশ নিয়েছিল, তার সব কটিতেই দলের মনোনয়নে ভোট করেন তিনি।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়