প্রফেসর এম ফরিদ উদ্দিন ::
জন্মদিন পালনের রেওয়াজ ঠিক কখন, কিভাবে শুরু হয়েছিল, তার সঠিক ইতিহাস, তথ্য বা information আমার জানা না থাকলে ও একথা নিশ্চিত করে বলতে পারি পৃথিবীর প্রায় ২০০ দেশের প্রায় সকল সমাজে সকল পর্যায়ে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যে জন্মদিন পালন করার সংস্কৃতি কমবেশী বিরাজমান। আর এ জন্যই William Barclay যথার্থই বলেছেন - " There are two great days in a person's life - the day we are born and the day we discover why." এথেন্সের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত মহামনীষী সক্রেটিস বিচারকদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন -" আমি অপরাপর লোকের মতো সাধারণ নির্ঝঞ্ঝাট জীবন কাটাইনি। আমি আমার নীতির দৃঢ়তা নিয়ে বেঁচেছিলাম। যে জীবনে আমি নিজের বা অপরের মঙ্গল সাধন করতে পারবনা তা গ্রহণ করিনি। আপনাদের সব সময়ই একথা বুঝাতে চেয়েছি, ব্যক্তিগত স্বার্থের উর্ধ্বে নিজের আত্মার উন্নয়নের দিকে দৃষ্টি দেয়াই শ্রেয়। এরূপ জ্ঞান দানের পর ও আজ আমি কী পাচ্ছি ? এই কি আমার প্রাপ্য ছিল? আমাকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে আপনারা ক্ষণস্থায়ী খ্যাতি হয়তো পাবেন, কিন্তু কিছু দিন পরই জ্ঞানী সক্রেটিসকে হত্যার দায়ে আজকের নিন্দুকেরা আপনাদেরকেই দোষারোপ করবে। তোমরা যদি ভাবো তোমাদের পাপ কাজের বিরুদ্ধে সোচ্চার কন্ঠকে হত্যার মাধ্যমে রুদ্ধ করতে পারবে, তাহলে তা ভুল ধারণা। কারণ অব্যাহতি লাভের এই উপায় সম্ভবত বিশ্বাসযোগ্য ও নয়। শ্রেষ্ঠ ও সহজতম উপায় হচ্ছে কাউকে দমিয়ে রাখা নয়, বরং নিজেকে উন্নত মানুষ রূপে গড়ে তোলা "।
বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক জনাব তারেক রহমান ১৯৬৭ সালের ২০ শে নভেম্বর জন্ম গ্রহণ করেন। বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি, স্বাধীনতার ঘোষক, বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা, জননন্দিত রাষ্ট্রপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী, Mother of democracy দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে জনাব তারেক রহমান। রাজনৈতিক জীবনে পদার্পণের পর হতে শুরু করে অদ্যাবধি জনাব তারেক রহমান এর রাজনীতির চলার পথ কখনোই কুসুমাস্তীর্ণ ছিলনা, বরং সর্বদা কণ্টকাকীর্ণ। জনাব তারেক রহমান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কুচক্রী মহল তথা সাম্রাজ্যবাদী শক্তির ষড়যন্ত্রের টার্গেটে সকল সময়ই পরিণত হয়েছেন। রাজনীতির দূর্গম গিরি পাড়ি দিয়ে জনাব তারেক রহমান আজ বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয়, দূরদর্শী ও দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ। ড: এমাজ উদ্দিন আহমেদ তাঁর এক লেখনীতে বলেন- " তাকে (জনাব তারেক রহমান) চিনি দীর্ঘদিন ধরে। কোন আলোচনা সভা বা সেমিনার নয় বরং ঘরোয়া পরিবেশে। সুশীল তরুণ হিসাবে। তাঁর বক্তব্য ঋজু। চিন্তা - ভাবনা সুস্পষ্ট। কৃত্রিমতা এখনো তাকে স্পর্শ করেনি। স্পর্শ করেনি দূ্র্বুদ্ধিতাপ্রসূত কোন জটিলতা। সম্ভবত এই কারণেই তারেকের বন্ধু যতজন, শত্রু ও প্রায় ততজন। এদেশের লাখো কোটি কোটি মানুষ চায় তারেকের জীবন সফল হউক। আমি ও তাদের একজন। তার পথের দু'পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে অসংখ্য কন্ঠক। এসব এড়িয়ে চলতে হবে তাকে আর খুঁজে পেতে হবে সৎ, সাহসী, সৃজনশীল বান্ধবদের, জাগ্রত রাখতে হবে সর্বক্ষণ তার বিবেককে। বুদ্ধির পরির্বতে প্রজ্ঞার নির্দেশ মেনে চলতে হবে। মস্তিষের চেয়ে অন্ত:করণের নির্দেশনাই এদেশে অধিক কার্যকর হয়েছে সবসময়। তার ও পথ নির্দেশনা দিক তার বিবেক, তার অন্ত:করণ"।
জাতি হিসাবে আমরা খুবই ভুলোমনা। অতি দ্রুত আমরা সব সময় নিকট ইতিহাস ভুলে যেতে পারি। সাম্প্রতিক কালে ১/১১ নিয়ে কাউকে খুব একটা কথা বলতে শোনা যায় না। অথচ ঐ ১/১১ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি নাক্কার জনক ও জঘন্যতম ঘটনা - যা বাংলাদেশকে সকল দিক হতে বিশেষ করে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বহুগুণে পিছিয়ে দিয়েছে। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের ফ্যাসীবাদী দু:শাসন, ও নির্যাতনের বীজ বহুলাংশে ১/১১ এর ঘটনা প্রবাহের মধ্যে নিহিত। অদূর ভবিষ্যতে হয়তো দেখা যাবে আমরা শেখ হাসিনার ফ্যাসীবাদী দু:শাসনের নজির বিহীন ঘটনা প্রবাহের কথা ভুলে যাবো, হয়তো ভুলে যাবো লক্ষ কোটি মানুষের আন্দোলন সংগ্রাম ও ত্যাগ তিথিক্ষার কথা, হয়তো ভুলে যাবো বুক পেতে জীবন বিলিয়ে দেয়া সাঈদ, মুগ্ধ, ওয়াসিম, আদনান, আসিফ, রাফি, ফারুকসহ প্রমূখ বীরসন্তানদের কথা। ১/১১ এর কুশীলবগণ ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তির দোসররা আজো কিন্তু তাদের এজেন্ডা নিয়ে ব্যাপক ভাবে তৎপর। সুতরাং জাতি হিসাবে আমাদের সবাইকে এক্ষেত্রে সর্বদা সজাগ ও সর্তক থাকতে হবে। জনাব তারেক রহমান এজন্য যথার্থই বলেছেন -" স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও রাজনীতির ক্রান্তিকাল এখনো কাটেনি "।
১/১১ কেন সংঘটিত হয়েছিল, কী ছিল ১/১১ এর কুশীলবদের Motive, কেন বিএনপি তথা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর পরিবারকে টার্গেট করা হয়েছিল, কী কারণে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক জনাব তারেক রহমান এর উপর অমানবিক নির্যাতন ও অত্যাচারের স্টিম বোলার চালানো হয়েছিল, তা মোটে ও আমাদের অজানা নয়। বিএনপি তথা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক জনাব তারেক রহমান জাতীয়তাবাদী চিন্তা চেতনা, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও দেশপ্রেমের প্রতীক। সুতরাং যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে হরণ করতে চায়, দেশকে যারা দূর্বল, ভঙ্গুর ও তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়, তাদের এই সমস্ত ষড়যন্ত্র বাস্তবয়ন করার পথে একমাত্র বাঁধা বিএনপি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক জনাব তারেক রহমান। তাছাড়া জনাব তারেক রহমান বিএনপিকে যুগোপযোগী ও গতিশীল করার লক্ষ্যে অত্যন্ত কার্যকর ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন- যা দেশে বিদেশে সর্বত্র প্রশংসিত হয়েছিল। জনাব তারেক রহমান এর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিরা কোন ভাবেই তাঁর দক্ষতা, যোগ্যতা, মেধা ও দূরদর্শীতার সাথে পাল্লা দিতে পারছিলনা। তাই ১/১১ এর পর জনাব তারেক রহমান সবচেয়ে বেশী টার্গেটে পরিণত হন এবং নির্মম নির্যাতনের শিকার হন। একজন তরুণ রাজনীতিবিদ হিসাবে ১/১১ এর পর জনাব তারেক রহমানকে গ্রেফতার ও নির্মম নির্যাতনের কারণ হিসাবে ড: এমাজ উদ্দিন আহমেদ নিম্নের কারণ সমূহের কথা উল্লেখ করেন।
১। স্বাধীন বাংলাদেশে হত্যা করা গণতন্ত্রকে যিনি পুন:প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেই মহানায়ক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর প্রতিচ্ছবিকে ধ্বংস করা।
২। বর্তমানে যিনি বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষায় আপোষহীন নেত্রী হিসেবে স্বীকৃত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত করে অগণতান্ত্রিক ও বিদেশী প্রভুদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে।
৩। একজন মানুষ রাষ্ট্রের কোন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত না থেকে ও দেশের কান্ডারী হিসাবে আবিভূত হতে পারেন - এমন জনপ্রিয়তাসম্পন্ন কোন মানুষ বাংলাদেশে বর্তমানে নেই যেটা জনাব তারেক রহমানের মধ্যে ছিল, সেই কারণে।
বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক ঘটনা সমূহের প্রেক্ষাপটে নিশ্চিত করে বলা যায়, জনাব তারেক রহমান আজো কিন্তু ঐ সমস্ত দেশ ও দেশের স্বার্থ বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্তের কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছেন। কেননা আজো জনাব তারেক রহমান দেশের স্বাধীনতা - সার্বভৌমত্ব ও দেশের স্বার্থ বিরোধী চক্রের চক্রান্ত বাস্তবায়নের পথে প্রধান ও একমাত্র বাঁধা। ১/১১ এর কুশীলবগন এখনো ভিন্ন ভিন্ন সূরে, ভিন্ন ভিন্ন পোশাকে ও ভিন্ন ভিন্ন রঙ্গে ১/১১ এর মূলমন্ত্রের জয়গান ও কুহুকুহু সূরের লহর তোলে দেশকে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাওয়ার নানা রকম অপতৎপরতায় লিপ্ত।
১/১১ এর পরবর্তী ২০০৮ সালের মধ্য সেপ্টেম্বর জনাব তারেক রহমান চিকিৎসার উদ্দেশ্যে লন্ডনে আসেন এবং জনাব তারেক রহমান সাহেবকে বহনকারী বিমান London Gatwick Airport এ অবতরণ করে। সময়টা ছিল রমজান মাস। সেহরী খেয়ে যুক্তরাজ্য বিএনপি'র নেতা-কর্মীবৃন্দ Gatwick Airport এ হাজির হন জনাব তারেক রহমান সাহেবকে স্বাগত জানাতে ও বরণ করে নিতে। তৎকালীন সময়ে যুক্তরাজ্য বিএনপি'র Joint Secretary হিসাবে আমি দ্বায়িত্ব পালন করছিলাম। বিএনপি'র একজন কর্মী হিসাবে আমার সৌভাগ্য হয়েছিল সেদিন Gatwick Airport এ উপস্থিত থাকার। সেদিন জনাব তারেক রহমান সাহেবের শারীরিক করুন অবস্থা দেখে শুধু যুক্তরাজ্য বিএনপি'র নেতা-কর্মী নয় বরং সারা দেশের জনসাধারণের হৃদয় ভেঙ্গে খান খান হয়ে গিয়েছিল । জনাব তারেক রহমান সরকারের কোন দায়িত্বশীল পদে অধিষ্ঠিত না থেকে ও মানুষের ভালোবাসার টানে ও মানুষের উন্নয়ন সাধনের জন্য বাংলাদেশের চর্তুকোণে দূর্বার গতিতে ক্ষিপ্রতার সহিত চষে বেড়িয়েছেন। অথচ জনাব তারেক রহমান সাহেবকে দেখার পর শারীরিক অবস্থার পরিণতি দেখে বুঝাই গিয়েছিল কী নিষ্টুর ও অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছিল ১/১১ এর সরকার। জনাব তারেক রহমান বাংলাদেশের লক্ষ কোটি মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস। জনাব তারেক রহমান সাহেবকে তারা রাজনৈতিক ভাবে ও ধ্বংস করতে চেয়েছিল। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর পরিবারের উপর নির্মম নির্যাতনের দৃশ্য দেখে মনে হয়েছিল - প্রতিকার বিহীন বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। ইতিহাস একদিন ঐ সমস্থ নির্যাতন ও অত্যাচারের বিচার নিজ গতিতে সম্পন্ন করবে বলে আমার বিশ্বাস। রাজনীতির বিভিন্ন বাঁক ও মোহনা অতিক্রম করে বাংলাদেশের রাজনীতি এখন ভিন্ন এক পটভূমিতে উপনীত। এই অবস্থায় আমাদের সবাইকে অত্যন্ত সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে, যাতে ছাত্র জনতার আন্দোলনের মূল অর্জন কোন অবস্থাতে ব্যর্থ হতে না পারে। আর এ জন্যই জনাব তারেক রহমান বলেছেন- "জনগণের আত্মত্যাগকে মূল্যায়ন করতে না পারলে ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করবেনা "।
জনাব তারেক রহমান এর রাজনৈতিক দক্ষতা দূরদর্শিতা ও প্রজ্ঞার সাথে কোন ভাবেই পাল্লা দিতে না পেরে ১/১১ কুশীলবদের কোলাহল এখনো বিরাজমান। " চারদিকে শত্রুর দল করিতেছে কোলাহল " এর মতো ১/১১ এর কুশীলবগন মঈন-ফখর এর ঘৃণ্য এজেন্ডা নিয়ে এখনো কলেরব করছে। জনাব তারেক রহমান বিদেশ বিভূঁইয়ে অবস্থান করে ও নিজ প্রতিভা ও যোগ্যতা বলে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার ফ্যাসীবাদী আন্দোলনের মূল নেতৃত্ব প্রদান করে ইতিহাসে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। জনাব তারেক রহমান বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের মহানায়ক হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ জনাব তারেক রহমান অচিরেই বীরের বেশে দেশে প্রত্যাবর্তন করে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তি, সাম্য ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের পাঞ্জেরী হিসাবে রাজনীতির মহাকাব্য রচনা করবেন। বাংলাদেশের রাজনীতির ভাগ্যাকাশে যখনই দূর্যোগের ঘনঘটা ও অমানিশা আসে, তখনই দেশ ও দেশবাসীর ত্রাণকর্তা হিসাবে আবির্ভূত হন বিএনপি ও জিয়া পরিবার।
জনাব তারেক রহমান সাহেব এর জন্মদিনের শুভ ক্ষণে বিএনপি'র লক্ষ কোটি নেতা কর্মী তথা সারা দেশবাসীর মতো আমিও জনাব তারেক রহমান এর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি। An inspirational great leader like Tarique Rahman, who will lead the way and light up the path for all of us, and indeed for whole nation. Many more years to come, We, the nation, each and everyone will be benefitted for greater good by Tarique Rahman’s wisdom which will be spread every where, every parts and every corner of our country. As a direct result of great leadership and unique patriotism certainlay Tarique Rahman has earned his place in history.
লেখক : প্রফেসর এম ফরিদ উদ্দিন ,সাবেক সহ-সভাপতি ,যুক্তরাজ্য বিএনপি।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়