চা খেতে ভালোবাসেন না, এমন বাঙালি খুঁজতে গেলে আতশকাচ নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়তে হবে। কাজের ক্লান্তি দূর করতে এবং একটু ফুরফুরা থাকতে কমবেশি সবাই দিনে একবার হলেও চায়ের কাপে চুমুক দেন। তার মধ্যে যদি দুই তিনটা পুদিনা পাতা ফেলা যায়, তাহলে সেই চায়ের স্বাস্থ্যগুণ বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
গবেষকদের কথায়, নিয়মিত পুদিনা পাতার চা পান করলে একাধিক উপকার মিলবে। এমনকি এড়িয়ে চলা যাবে ছোট-বড় রোগব্যাধিও। সুতরাং সুস্থ থাকার ইচ্ছা থাকলে এই পানীয়ের একাধিক চমকে দেওয়া গুণাগুণ সম্পর্কে জেনে নিন। তারপর নিয়মিত গলায় ঢালুন। এতেই ফিরবে আপনার স্বাস্থ্যের হাল।
কমবে পেটের সমস্যার প্রকোপ
নিয়মিত পুদিনা পাতার চা খেলে গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং পেট ফাঁপার মতো একাধিক সমস্যার সহজ সমাধান আপনি করে ফেলতে পারবেন। এমনকি ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের মতো জটিল পেটের সমস্যার প্রকোপ কমাতেও সাহায্য করে এটি। সুতরাং পেটের অসুখে ভুক্তভোগীরা অবশ্যই পুদিনা পাতার চা খান। এতেই ফল মিলবে হাতেনাতে।
মাথা ব্যথা নিপাত যাবে
নিয়মিত মাথা ব্যথায় ভুগতে হয় নাকি? তাহলে প্রতিদিন সকালে পুদিনা পাতার চা পান করুন। এতেই চটজলদি মিলবে উপকার। পুদিনায় এমন কিছু মাসল রিল্যাক্স্যান্ট রয়েছে যা মাথা ব্যথা কমানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। এমনকি মাইগ্রেনে ভুক্তভোগীরাও এই পানীয়ে চুমুক দিলে উপকার পাবেন।
মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে
অনেকের মুখের অন্দরে বাস করে লক্ষাধিক ব্যাকটেরিয়া। এসব ব্যাকটেরিয়া খাবারের সঙ্গে বিক্রিয়া করে দুর্গন্ধ তৈরি করে। তখন কথা বলার সময় বা শ্বাস নেওয়ার সময় মুখ থেকে খারাপ গন্ধ বের হয়। পুদিনায় রয়েছে এমন কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা মুখের অন্দরের ব্যাকটেরিয়া বিনাশ করার কাজে সিদ্ধহস্ত। ফলে নিয়মিত এই চা পান করলে মুখের দুর্গন্ধ সহজেই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
সাইনাসের ব্যথা কমবে
বর্ষার শুরু থেকেই বেশ কিছু ভাইরাস সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এসব ভাইরাসের খপ্পরে পড়ে অনেকেরই পিছু নিচ্ছে সাইনাসের তীব্র মাথা ব্যথা। এই সমস্যা সমাধানে একবারে ধন্বন্তরির মতো কাজ করে পুদিনার চা। আসলে এই পানীয়ে মজুত মিন্থল নামক উপাদানটি এই সমস্যা কাটানোর কাজে সিদ্ধহস্ত বলে ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। তাই সাইনুসাইটিসের রোগীরা এই পানীয়ে চুমুক দিতে ভুলবেন না যেন!
এনার্জির ঘাটতি মিটবে
অল্পতেই হাঁফিয়ে উঠছেন? শরীরকে গ্রাস করে রয়েছে ক্লান্তি? এমনকি কাজেও বসছে না মন? এই ধরনের পরিস্থিতির শিকার হলে চটজলদি এক কাপ পুদিনা চা খেয়ে নিতেই পারেন। এই কাজটা করলেই শরীরে এনার্জির ব্যাটারি ফুল চার্জ হয়ে যাবে। তারপর সব কাজই হবে দ্রুত গতিতে। এমনকি আপনার মানসিক ক্লান্তিও কেটে যাবে।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়