আমরা সবাই বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু ব্যবহার করে থাকি। অনেক সময় আশানুরূপ ফল পাই না। তাই ঝলমলে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুলের জন্য প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ঘরে তৈরি শ্যাম্পু ব্যবহারের মাধ্যমে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিন।
যেমন চুলের যত্নে চাল ধোয়া পানির ব্যবহার এ দেশে তেমন প্রচলিত ছিল না। তবে কোরিয়ান প্রসাধনী জনপ্রিয় হওয়ার পর থেকে চাল ধোয়া পানির কদর বেড়েছে। ত্বকে তো বটেই, এখন চুলেও চাল ধোয়া পানি ব্যবহার করেন অনেকে।
শ্যাম্পু করার পর চাল ধোয়া পানি দিয়ে চুল ধুলে তা অনেকটা কন্ডিশনারের মতো কাজ করে। চুল হয়ে ওঠে রেশমের মতো। আবার, ঐ তরল দিয়ে সম্পূর্ণ রাসায়নিক বর্জিত শ্যাম্পুও তৈরি করা যায়। তবে এর জন্যে আরো কিছু লাগে।
এবার চলুন জেনে নিই চাল ধোয়া পানি দিয়ে শ্যাম্পু বানাবেন যেভাবে-
উপকরণ
চাল: ১ কাপ
রিঠা: ৪-৫টি
পরিমাণ মতো পানি
প্রণালী
> প্রথমে চাল ভালো করে ধুয়ে নিন। কিন্তু খুব বেশি বার ধোয়ার প্রয়োজন নেই। সে ক্ষেত্রে চালের মধ্যে থাকা খনিজ ধুয়ে বেরিয়ে যাবে।
> এবার ওই পানির মধ্যে রিঠাগুলো ভিজিয়ে রাখুন। সারারাত ভিজিয়ে রাখতে পারলে ভালো। না হলে ২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতেই হবে।
> চালের পানি হালকা গরম করে নিলে চটকাতে সুবিধা হবে। ঐ তরল শ্যাম্পুর মতো ফেনায় ভরে উঠবে।
বানানো শ্যাম্পু মাখবেন যেভাবে
প্রথমে সাধারণ পানি দিয়ে চুল ভিজিয়ে নিন। তারপর চাল ধোয়া পানি আর রিঠা দিয়ে তৈরি ওই মিশ্রণ মাথায় মেখে রাখুন। হেয়ার ব্রাশ দিয়ে মাথায় হালকা মাসাজ করতে পারেন। তাতে খুশকি বা মৃত কোষ সহজেই দূর হয়ে যাবে। ২ মিনিট পর পানি দিয়ে ভালো করে মাথা ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে অন্তত ২-৩ দিন রাসায়নিক-মুক্ত এই শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধোয়া যেতে পারে।
চালের পানি দিয়ে তৈরি শ্যাম্পু মাখলে কী উপকার হবে?
১. চাল ধোয়া পনিতে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড। যা চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে, চুলের ডগা ফাটার সমস্যা রোধ করতেও সাহায্য করে।
২. মরসুম বদলে মাথার ত্বকও শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে খুশকির বাড়বাড়ন্ত হয় এই সময়ে। চাল ধোয়া পানি মাথার ত্বকের পিএইচের সমতা বজায় রাখে। ফাঙ্গাস বা ছত্রাকঘটিত সংক্রমণও রুখে দিতে পারে।
৩. চুলের জেল্লা বজায় রাখতেও সাহায্য করে চাল ধোয়া পানি। এই তরলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই। যা নিষ্প্রাণ চুলকেও ঝলমলে করে তোলে।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়