Friday, October 11

যে কারণে শান্তিতে নোবেল পেলো জাপানের সংগঠন নিহন হিদানকিও

 


চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছে জাপানের সংগঠন নিহন হিদানকিও। দেশটির দুই শহর হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা বিস্ফোরণের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে কাজ করে এই জাপানি গোষ্ঠী। নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পৃথিবীকে পরমাণু বোমা থেকে মুক্তি দেওয়ার লক্ষ্যে অসামান্য অবদান রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের। পরমাণু বোমা যে বিশ্বের জন্য কতটা ক্ষতিকর, তা নিয়ে বিভিন্ন প্রচারমূলক কর্মসূচি চালায় এই জাপানি প্রতিষ্ঠান।

১৯৫৬ সালে তৈরি হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। হিরোশিমা ও নাগাসাকির মতো ঘটনা যাতে আর কোনও দিন কোথাও না ঘটে, তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই অবিরাম কাজ চালিয়ে যাচ্ছে নিহন হিদানকিও। তাদের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছে নোবেল কমিটি।

১৯৪৫ সালের ঘটনা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রায় শেষ দিক। হঠাৎ রাতারাতি ধ্বংস হয়ে যায় জাপানের দু’টি শহর। ৬ অগস্ট হিরোশিমায় আছড়ে পড়েছিল পরমাণু বোমা ‘লিটল বয়’। ঠিক তার তিন দিন পরে ৯ অগস্ট নাগাসাকিতে আছড়ে পড়েছিল ‘ফ্যাট ম্যান’। তার পর থেকে গত ৮০ বছরে অনেক যুদ্ধ হয়েছে। কিন্তু কোনও যুদ্ধে কোনও দেশই আর পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের সাহস দেখায়নি।

হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্তরা কী ভাবে নিজেদের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন, সে কথাও উল্লেখ করেছে নোবেল কমিটি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নোবেল কমিটি জানিয়েছে, তারা (ক্ষতিগ্রস্তরা) আমাদের অবর্ণনীয়কে বর্ণনা করতে শিখিয়েছেন। যা কল্পনাও করা যায় না, সেটিকে ভাবতে শিখিয়েছেন। পরমাণু অস্ত্রের কারণে কত যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে, সেটাও অনুধাবন করতে শিখিয়েছেন।

নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলতি বছরে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মোট ২৮৬টি আবেদন জমা পড়েছিল। তার মধ্যে ১৯৭টি ব্যক্তিগত সম্মাননার জন্য আবেদন ছিল এবং বাকি ৮৯টি ছিল প্রতিষ্ঠানের সম্মাননার জন্য আবেদন। সকলের মধ্যে থেকে নোবেল কমিটি এ বছরের জন্য বেছে নিয়েছে পরমাণু বোমা নিয়ে কাজ করা এই প্রতিষ্ঠানকে।

সূত্র: রয়টার্সআনন্দবাজার


শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়