Saturday, October 12

সিলেটে একই আঙ্গিনায় মসজিদ-মন্দিরে ধর্মীয় সম্প্রীতি


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক : 

এক আঙ্গিনায় মসজিদ এবং মন্দির মুসলিম ও সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যার যার ধর্ম পালন করছেন। এক পাশে আজান হয় আরেক পাশে পুজো এমন সম্প্রীতির ঘটনা বাংলাদেশে খুব কম। তবে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী উপজেলা বিয়ানীবাজার যেখানে দীর্ঘ ৭০ বছরের বেশি সময় থেকে এক এলাকায় একই আঙ্গিনায় ধর্মীয় সম্প্রীতির বিষয়টি ফুটে উঠেছে।


উপজেলার তিলপাড়া ইউনিয়নের শানেস্বর বাজারে সম্প্রীতির এমন দৃশ্য যেন ‘পৃথিবীটা মানুষের হোক, ধর্ম থাকুক অন্তরে, মসজিদে আজান হোক, ঘণ্টা বাজুক মন্দিরে’ চরণটি মনে করিয়ে দেয়। 


বিশেষ করে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হওয়ায় প্রতিবছরই বিশেষ করে আলোচনায় আসে এই সম্প্রীতির ঘটনাটি। ওই বাজারের একই উঠানে জামে মসজিদ ও সাথে সার্বজনীন পূজা মন্ডপ। যে যার মতো ধর্ম পালন করে চলেছেন। স্থানীয় সোনাই নদীর তীরবর্তী বাজারে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা মুসলমান ব্যবসায়ীরা এক সময় নামাজ পড়ার জন্য মন্দিরের পাশেই তৈরী করেন একটি ছোট মসজিদ। আর সেটির নামকরণ করা হয় শানেস্বর বাজার জামে মসজিদ। ওই সময় থেকে এক উঠোনে চলছে দুই ধর্মের দুই উপাসনালয়।


আজানের সময় থেকে নামাজের প্রথম জামায়াত শেষ না হওয়া পর্যন্ত মন্দিরে ঢাক ও ঢোলসহ যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ থাকে। নামাজের প্রথম জামায়াত শেষ হলে মন্দিরের কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়। এখন পর্যন্ত মন্দির-মসজিদ নিয়ে ঘটেনি কানো অপ্রীতিকর ঘটনা। পারস্পরিক সহনশীলতা, সৌহার্দের এ নমূনায় তাদের বন্ধন হয়েছে আরো সুসংহত।


সনাতনধর্মালম্বী গোবিন্দ দাস অমিত নামের এক তরুণ বলেন, প্রতিবছরই আমাদের এখানে দুর্গোৎসব পালন করা হয়, বিশেষ করে পাশে মসজিদ থাকায় কারো কোনো সমস্যা হয় না। আমরা একে অপরের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এই সম্প্রীতি আমাদের উপজেলায় বিরল সকলের মধ্যে এমন ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় থাকলে সুন্দর পৃথিবী গড়া কঠিন কোনো কাজ নয়। 


বিয়ানীবাজার পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অরুনাভ পাল চৌধুরী মোহন বলেন, আমাদের উপজেলার তিলপাড়ায় একই আঙ্গিনায় মসজিদ এবং মন্দির যে সম্প্রীতি সেটি পুরো দেশ জুড়ে সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বিশেষ করে আমাদের উপজেলায় একে অপরের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল যার ফলে আমরা এখনো কাধে কাধ মিলিয়ে চলতে পারি।


সূত্র: সিলেট প্রতিদিন 

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়