কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী—বিএসএফের গুলিতে মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার ১৩ বছর বয়সী বাংলাদেশি শিশু স্বর্ণা দাস নিহতের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনে পাঠানো এক প্রতিবাদ নোটে ভারত সরকারকে এ ধরনের জঘন্য কাজের পুনরাবৃত্তি বন্ধ এবং সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও দায়ীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবাদ নোটে এ ধরনের নির্মম কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা এবং এসব ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।
প্রতিবাদ নোটে বাংলাদেশ সরকার মনে করিয়ে দিয়েছে, সীমান্ত হত্যার এই ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অযৌক্তিক এবং সীমান্ত কর্তৃপক্ষের জন্য যৌথ ভারত-বাংলাদেশ নির্দেশিকা, ১৯৭৫-এর বিধান লঙ্ঘন।
প্রসঙ্গত, গত ১ সেপ্টেম্বর রাতে মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের লালারচক সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় উপজেলার নিরোদ বিহারী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী স্বর্ণা দাশ। এই ঘটনার ৪৫ ঘন্টা পর গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দুই দেশের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে স্থানীয় চাতলাপুর চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে স্বর্ণার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
জানা গেছে, গত রবিবার রাতে স্বর্ণা ও তার মা সঞ্জিতা রানী দাস ত্রিপুরায় বসবাসরত স্বর্ণার ভাইকে দেখতে স্থানীয় দুই দালালের সহযোগিতায় লালারচক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তাদের সঙ্গে আরও ছিলেন চট্টগ্রামের এক দম্পতি। রাত ৯টার দিকে তারা ভারতীয় সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে গেলে বিএসএফ সদস্যরা গুলি চালান। এতে ঘটনাস্থলেই স্বর্ণা নিহত হয় এবং সঙ্গে থাকা দম্পতি আহত হয়।
সূত্র: ঢাকাটাইমস
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়