কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
দ্রুত এগিয়ে চলা জীবনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে না পারলেই মাথায় উঁকি দিতে পারে উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তার মতো সমস্যা। এসব সমস্যার দিকে প্রথমেই নজর না ফেরালে ধীরে ধীরে অবসাদ থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস, প্রেশারসহ একাধিক জটিল অসুখের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে।
তাই হেসে-খেলে জীবন কাটাতে চাইলে যেনতেন প্রকারেণ উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তার ফাঁদ কাটাতেই হবে। এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে থানকুনি পাতা। তাই আর সময় নষ্ট না করে এসব মানসিক অনভূতিকে বাগে আনার কাজে থানকুনি পাতার কার্যকারিতা সম্পর্কে বিশদে জেনে নিন।
উৎকণ্ঠা দূর করে
গবেষণায় দেখা গেছে, এই পাতার অ্যান্টিঅ্যাংজাইটি এফেক্ট রয়েছে। এমনকি এই পাতার গুণে মস্তিষ্কের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস, নিউরোনইফ্লামেশনের মতো সমস্যাকেও অনায়াসে বাগে আনা সম্ভব হবে। তাই তো স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটির ফাঁদ কাটাতে নিয়মিত থানকুনি সেবন করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রাকৃতিক ‘অ্যান্টিডিপ্রেশেন্ট’
নিয়মিত মন ভালো না থাকার সমস্যাকেই বিজ্ঞানের পরিভাষায় অবসাদ নামে ডাকা হয়। এই রোগকে প্রথমেই বাগে না আনলে একাকিত্ব, কাজে অনীহা, অনিদ্রা থেকে শুরু করে একাধিক জটিল সমস্যার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগীর মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতাও দেখা দেয়।
তাই প্রথম দিন থেকেই এই সমস্যাকে বাগে আনার কাজে নেমে পড়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে থানকুনি পাতা। তাই মনের কোণে ঘন কুয়াশা জডড়ো হলে এই পাতাকে ডায়েটে জায়গা করে দিতে দেরি করবেন না!
এড়াতে পারবেন অ্যালঝাইমার্সের ফাঁদ
বয়স বাড়লে স্মৃতির পাতা আলগা হবেই। এটাই জীবনের স্বাভাবিক নিয়ম! তবে কোনো কারণে স্মৃতিশক্তি এক ঝটকায় অনেকটা কমে গেলে সতর্ক হতে হবে বৈকি! কারণ এমন সমস্যার পেছনে কলকাঠি নাড়তে পারে অ্যালঝাইমার্স ডিজিজ।
তবে ভালো খবর হলো, নিয়মিত থানকুনি পাতা সেবন করলে মস্তিষ্কের নার্ভের ফাংশন এবং মেমোরি ফাংশন বাড়ে। সেই সুবাদেই অ্যালঝাইমার্সের মতো জটিল অসুখের ফাঁদ এড়িয়ে চলা সম্ভব হয়। তাই স্মৃতির বাঁধন পোক্ত করতে চাইলে থানকুনি পাতা সেবন করাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
ঘুমের সমস্যা দূর হয়
ঘুমের মধ্যে আমাদের অজান্তেই শরীর একাধিক কাজ সেরে ফেলে। তাই দিনে অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুম জরুরি। নইলে দুশ্চিন্তা, উৎকণ্ঠা থেকে শুরু করে অবসাদের মতো জটিল মানসিক সমস্যার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে।
ভালো খবর হল, থানকুনি পাতায় এমন কিছু উপাদানের খোঁজ মেলে যা কিনা চোখে ঘুম এনে দেওয়ার কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই যাদের রাতে দুই চোখের পাতা এক করতে সমস্যা হয়, তারা প্রতিদিন এই পাতা সেবন করুন। এই নিয়মটা মেনে চললেই বিছানায় গা এলিয়ে দিলেই চোখে জডড়ো হবে ঘুমপরীরা।
ডিটক্স মেডিসিন
বিপাক ক্রিয়ার পর শরীরে একাধিক ক্ষতিকর উপাদান তৈরি হয়। দেহে এসব উপাদানের ভিড় বাড়লেই উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তা থেকে শুরু করে একাধিক জটিল অসুখের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই যেনতেন প্রকারেণ শরীরকে ডিটক্স করতে হবে।
এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ থানকুনি পাতা। তাই মনের পাশাপাশি শরীরের হাল ফেরাতে চাইলেও ঝটপট এই পাতার শরণাপন্ন হন। তাতেই চটজলদি উপকার পাবেন।
কীভাবে খাবেন?
প্রতিদিন সকালে উঠে কয়েকটি থানকুনি পাতা পানি দিয়ে গিলে খেয়ে নিন। কিংবা এই পাতার রস করেও সেবন করতে পারেন। আবার পাতা কুচিকুচি করে ভর্তা করে ভাতের সঙ্গেও খান অনেকে। যেভাবেই খান উপকার মিলবে হাতেনাতে।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়