পুনর্গঠিত হয়েছে শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট ও চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড। রবিবার যথাক্রমে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করে এ তথ্য জানানো হয়। এই দুই জায়গাতেই সদস্য হিসেবে জায়গা পেয়েছেন অভিনেত্রী ও সমাজকর্মী কাজী নওশাবা আহমেদ।
এ ব্যাপারে নিজের অনুভূতি জানিয়ে অভিনেত্রী বলেছেন, ‘এটা অনেক বড় দায়িত্ব। এক দিনে দুটি দায়িত্ব পাওয়ার খবর পেয়েছি। আমার বাবা বলতেন, ‘তুমি যেমন মানুষ, তেমনই সন্মানটাও পাবে। মনে হচ্ছে বাবার কথাটাই সত্যি হয়েছে।’
নওশাবা দাবি করেন, ‘আমি কোনো দলের লোক নই। কোনো দলের হয়ে দায়িত্ব দুটি পাইনি। সুতরাং সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ঠিকঠাক কাজটা করে যাবো। দায়িত্বটা হলো ভাবার বিষয়। সেভাবে ভেবেই এগিয়ে যাবো।’
তিন জানান, ‘গত কয়েক বছর খুব একটা কাজ করিনি। কিন্তু বসে থাকিনি। আদিবাসী, স্পেশাল শিশুসহ অনেক কিছু নিয়ে কাজ করেছি। সেই জায়গা থেকে নতুন দায়িত্ব পালন আমার জন্য একটু কঠিন। এই জায়গায় আমি নবজাতক। বাকি যারা আছেন তাদের কাছে শুনবো, শিখবো। দেশ সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে যদি আমি এক বিন্দুও দিতে পারি, সেটাই আমার বড় প্রাপ্তি।’
২০১৮ সালে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন চলাকালীন ছাত্রদের পক্ষে আওয়াজ তুলে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন কাজী নওশাবা। তাকে কারাভোগও করতে হয়েছে। রাখা হয়েছিল ছোট্ট একটি কক্ষে। রিমান্ডে নিয়ে তার ওপর চালানো হয়েছিল নির্যাতন। কয়েক মাস পর জামিন পেলেও মানসিক ট্রমার মধ্যে ছিলেন তিনি।
ক্ষমতাচ্যুত সেই আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানলে পড়ার কারণেই কি শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট ও চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্য করা হয়েছে কাজী নওশাবাকে? উঠছে এমনই প্রশ্ন। যদিও এই প্রশ্নের পরিষ্কার জবাব দেননি তিনি। বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ভাবছি। কী হয়েছে সেটা সময়ই বলে দেবে।’
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়