নিজস্ব প্রতিবেদক:
জীবনের চরম নিরাপত্তাহীনতায় শঙ্কিত হয়ে ব্যবসা বাণিজ্যের সকল পুঁজি হারিয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে কানাইঘাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মৎস্যখামারী ও তরুণ উদ্যোক্তা উপজেলার নিজ বাউরভাগ পশ্চিম গ্রামের আসহান উল্লাহর পুত্র জুনেদ আহমদ।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ২টায় প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী জুনেদ আহমদের উপস্থিতিতে তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খালাতো ভাই মিজানুর রহমান।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের নিজ বাউরভাগ পশ্চিম গ্রামের শওকত আলী চৌধুরী আজির উদ্দিনের পুত্র যুক্তরাজ্য প্রবাসী প্রতারক ও জাল-জালিয়াতকারী শাকুর সিদ্দিকী চৌধুরী উন্দ্রাকান্দি মৌজায় অবস্থিত সিট নং- ০১, দাগ নং- ১২২, ১৫, ১১৪, পরিমাণ- ৩৩ বিঘা ভূমি তাহার মালিকানা দাবী করে এবং উক্ত ভূমিতে তার পিতা শওকত আলী নগর ফিশারীজ এন্ড এগ্রো ফার্ম এর মালিক হিসাবে প্রচার করেন। আমি একজন মৎস্যখামারী তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে বিগত ২০২১ সালে যুক্তরাজ্য প্রবাসী শাকুর সিদ্দিকী আমার সাথে যোগাযোগ করলে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ২০ বছরের চুক্তির কথাবার্তা ঠিক করে প্রথমে ১০ বছর মেয়াদী চুক্তির মাধ্যমে তাহার শওকত আলী নগর ফিশারীজ এন্ড এগ্রো ফার্মটি ভাড়ায় লীজ নেই। লীজ নেওয়ার পর চুক্তি অনুযায়ী আমি ৩৩ বিঘা ভূমিতে একটি ফিশারী আমি বুঝে পাই। এরপরে ২০২১ হইতে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আমি সেখানে আরো ৩টি বড় ধরনের ফিশারী তৈরি করি, ফিশারীতে মাটি বাঁধ দেই ও ঘর নির্মাণ, চারা রোপন, মাছের ঘামলা তৈরি করি। খামারের পরিধি বাড়ানো সহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রায় ৮৫ লক্ষ টাকার ব্যাংক লোন ও আত্মীয়-স্বজনদের নিকট থেকে ঋণ করে ব্যয় করি। এছাড়াও ফিশারীজে বিভিন্ন সময়ে দীর্ঘমেয়াদী মৎস্য চাষের জন্য প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মাছের পোনা, চুক্তি অনুযায়ী ভাড়া বাবদ ৩ বছরে ৯০ হাজার টাকা ও ৭ বছরের অগ্রিম ৬ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা শাকুর সিদ্দিকীকে প্রদান করি। শাকুর সিদ্দিকীর পরামর্শে এবং চুক্তির শর্তের তাহার পরামর্শে আমি খামারে আরো বেশকিছু কাজ করি। উক্ত কাজের টাকা আমি শাকুর সিদ্দিকীর কাছে ফেরত চাইলে তিনি দিমু দিচ্ছি বলে সময় ক্ষেপণ করেন।
জুনেদ আহমদ সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, আমি বড় ধরনের বিনিয়োগ করে ফিশারীজে ভোগ দখল করা অবস্থায় বিগত ১৫/০২/২০২৪ইং তারিখে উপজেলার দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের কায়স্থগ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের মেয়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসী জাহিয়াদ ইয়াসমিন সহ তার পরিবারের লোকজন আমার লীজকৃত ফিশারীজে থানা পুলিশ নিয়ে যান এবং আমাকে বলেন ,উক্ত ভূমির সঠিক মালিক তাহারা ,তাই আমি যেন ফিশারীজের দখল ছাড়িয়া চলিয়া যাই। বিষয়টি আমি যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত শাকুর সিদ্দিকীকে অবগত করার পর তিনি আমাকে ফিশারীজ ছেড়ে যেতে নিষেধ করেন। এতে ভূমির মালিক জায়িদা ইয়াসমিন আমি সহ শাকুর সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করেন। এরপর হইতে জায়িদা ইয়াসমিন আমাকে আরো একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানী করেন। জাহিদা বেগমের মামলার কাগজপত্র তুলে জানতে পারি শাকুর সিদ্দিকীর মালিকানা দাবী করা শওকত আলী নগর ফিশারীজ এন্ড এগ্রোর ৩৩ বিঘা জমির প্রকৃত মালিক জাহিদা ইয়াসমিনের পরিবার। যার কারনে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জাহিদা ইয়াসমিন ফিশারীজের ভূমির দখল বুঝে পান। কিন্তু বহুরূপী প্রতারক ও জাল-জালিয়াতকারী শাকুর সিদ্দিকী জাহিদা ইয়াসমিনের মালিকানা ভূমি তার নিজের দাবী করে আমার সাথে জালিয়াতির মাধ্যমে শওকত আলী নগর ফিশারীজ এন্ড এগ্রো ফার্মটি লীজের চুক্তিপত্র করার কারনে আমি বিশাল আকারে ক্ষতিগ্রস্ত হই। তাই শাকুর সিদ্দিকীর কাছে আমার ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরত চাইলে তিনি উল্টো আমাকে দীর্ঘদিন থেকে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করে অডিও এবং ভিডিও কলের মাধ্যমে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানো সহ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে প্রাণে হত্যা করে গুম করে দেয়ার হুমকি-ধমকি বার বার দিয়ে আসছেন। এতে করে একদিকে শাকুর সিদ্দিকীর প্রতারণার শিকার হয়ে আমি কোটি টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি, ব্যাংক ঋণের বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছি এবং বর্তমানে শাকুর সিদ্দিকীর প্রাণ নাশের হুমকির কারনে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি।
শাকুর সিদ্দিকী একজন বহুরূপী প্রতারক ও জাল-জালিয়াতকারী, সে বিগত দিনে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন আওয়ামী লীগের কয়েকজন মন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে এবং সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার আশ্রয়-প্রশয়ে নিজেকে আওয়ামী লীগের ঘরানার লোক পরিচয় দিয়ে সিলেট শহর সহ বিভিন্ন উপজেলায় সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে জাল-জালিয়াতি করে অনেকের ভূমি আত্মসাৎ করেছে। কথিত শওকত আলী নগর ফিশারীজ এন্ড এগ্রো ফার্মের ৩৩ বিঘা ভূমিও তাহার আত্মীয় স্বজন ছাত্রলীগের কমিটিতে থাকার কারনে তাদের প্রভাব কাটিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ২০১৮ সালে জমি দখল করে বলে আমি পরবর্তীতে জানতে পারি।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে বর্তমানে শাকুর সিদ্দিকী নিজেকে বিএনপি ও জামাত ঘরানার লোক দাবী করে আমার ক্ষতিপূরণ না দেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত হুমকি ভয়ভীতি দিয়ে আসছে।
এমতাবস্থায় প্রতারক ও জাল-জালিয়াতকারী এম.এ শাকুর সিদ্দিকী চৌধুরীর কাছ থেকে আমার পাওনা টাকা উদ্ধার সহ আমার নিরাপত্তা নিশ্চিতে অর্ন্তবর্তী সরকার সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- জুনেদ আহমদের পিতা আহসান উল্লাহ, খালাতো ভাই মিজানুর রহমান, ভাতিজা দিহান আহমদ, রুহুল আহমদ প্রমুখ।
আল্লাহ ছার দেন কিন্তু ছেরে দেন না।আল্লাহ এর বিচার খুব তারাতারি করবেন ও জালিয়াতি করে করে তোমাকে ঠকিয়েছে এর বিচার দেশের প্রসাসনের কাছে আমরা চাই। কানাইঘাট বাসী ওর প্রতারণার শিকার হইছে ও বনকুকুরের বাচ্চা ও কি বুঝবে একজন অসহায় মানুষের কষ্ট ও জানে শুধু কোথায় কাকে জালিয়াতি করে মানুষকে অসহায় করে তার সরবশ হারা করবে।
ReplyDeleteআমরা এই জালিয়াতি ও প্রতারণার বিচার চাই।দেশের প্রসাসনের কাছে একটাই দাবি আমাদের এই জালিয়াতি ও প্রতারণার সঠিক বিচার যেনো হয়।