Sunday, September 1

কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারত গিয়ে মৃ ত্যু, স্ত্রীর পাশে চিরনিদ্রায় ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক :

পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্নার লাশ শনিবার (৩১ আগস্ট) এশার নামাজের পর বনানী কবরস্থান মসজিদে জানাজা শেষে স্ত্রীর কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়েছে। এর আগে দুপুরে  সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে লাশটি হস্তান্তর করে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পুলিশ।

জানা যায়, শনিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তামাবিল স্থলবন্দরের চেকপোস্ট দিয়ে পান্নার মরদেহ বাংলাদেশে আসে। প্রক্রিয়া শেষে লাশটি গ্রহণ করেন তার ভাতিজা কামরুজ্জামান খান নাবিল।

লাশ হস্তান্তরের বিষয়টি সিলেটভিউ-কে নিশ্চিত করেছে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম।

লাশ হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন সার্কেল এসপি রফিকুল ইসলাম, গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ হারুন অর রশীদ,  তামাবিল ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম ও বিজিবি’র আইসিপি পোস্ট কমান্ডার হাবিলদার সুরচন্দ্র।  

গত ২৪ আগস্ট রাতে কানাইঘাটের দনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যান ইসহাক আলী খান পান্না। কিন্তু ২৬ আগস্ট ভারতে তার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে উমকিয়াং থানাপুলিশ। তাঁর মৃত্যু নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে রহস্য। কিছু সূত্র বলছে- ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং যাওয়ার পর পাহাড় থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়। আবার কোনো কোনো সূত্র বলছে- তাকে হত্যা করা হয়েছে।

ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে জানা গেছে, পান্নার মৃতদেহের সঙ্গে পাওয়া পাসপোর্ট থেকে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে শ্বাসরোধের কথা বলা হয়েছে। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। কপালে ছিলে যাওয়া ও ক্ষতচিহ্নের কথাও বলা হয়েছে ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে।

এদিকে, ইউনাইটেড নিউজ অব ইন্ডিয়া (ইউএনআই) জানিয়েছে, পান্নার কাছে প্রায় দুই কোটি ডলার ছিল বলে তার স্বজনরা দাবি করেছেন। তবে মৃতদেহ উদ্ধারের সময় কোনো মুদ্রা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন পূর্ব জৈন্তিয়া পাহাড় জেলা পুলিশের প্রধান গিরি প্রসাদ। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। আমরা যখন লাশ উদ্ধার করি, তখন বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও স্মার্টওয়াচ ছাড়া কোনো অর্থকড়ি পাওয়া যায়নি।  মৃতদেহ উদ্ধারের পর স্থানীয় খেইহরিয়াত সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে ময়না তদন্ত করা হয়।

অপরদিকে, খবর পেয়েই নিহতের স্বজনরা লাশ দেশে নিয়ে আসার আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেন। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইসহাকের মরদেহ বাংলাদেশে পাঠাতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়। নানা প্রক্রিয়া অনুসরণ শেষে শনিবার মেঘালয় পুলিশ ইসহাকের মরদেহ তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

উল্লেখ্য, ইসহাক আলী খান পান্না ১৯৯৪ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১২ সালে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পর তিনি দলের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহসম্পাদক হন।

সূত্র: সিলেটভিউ২৪ডটকম


শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়