কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
আমাদের আশপাশেই রয়েছে সুস্বাস্থ্যের খাজানা। শুধু সেসব মহৌষধকে চিনে নিয়ে ডায়েটে সংযুক্ত করার দেরি। তাহলেই কিন্তু একাধিক রোগবিরেত থাকবে দূরে। জানলে অবাক হবেন, এমনই এক অত্যন্ত উপকারী প্রাকৃতিক উপাদান হলো পাট শাক।
গ্রামে এই পাট শাক খাওয়ার চল রয়েছে। ডাল দিয়ে পাটের কচি পাতা চচ্চড়ি একটি মুখরোচক পদ। এছাড়া শহরেও নানাভাবে খাওয়া হয় এই পাট শাক।
বিশেষজ্ঞদের কথায়, পাটের পাতায় রয়েছে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার। তাই নিয়মিত পাট শাক খেলে যে একাধিক প্রাণঘাতী রোগের ফাঁদ এড়িয়ে চলা যাবে, তা বলাই বাহুল্য!
তাহলে দেরি না করে পাট শাকের একাধিক চমকে দেয়া গুণাগুণ সম্পর্কে জেনে নিন।
ওজন কমবে তরতরিয়ে
ওজনের কাঁটাকে নিম্নমুখী করতে চাইলে ডায়েট চার্টে পাট শাককে জায়গা করে দিতেই হবে। কারণ এতে মজুত থাকা পর্যাপ্ত ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণেই ওজন কমবে। তাই কম সময়ের মধ্যে মেদ ঝরানোর ইচ্ছে থাকলে অবশ্যই পাট শাকের নানা সুস্বাদু পদ চেখে দেখুন।
বাড়বে ইমিউনিটি
ইমিউনিটি চাঙ্গা থাকলে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া শরীরে সিঁধ কাটার সুযোগ পাবে না। ফলে একাধিক সংক্রামক অসুখের ফাঁদ এড়িয়ে চলা সম্ভব হবে। তাই বিশেষজ্ঞরা ইমিউনিটি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে পাট শাক। এই পাতায় রয়েছে ভিটামিন সি এবং অত্যন্ত উপকারী কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে চাঙ্গা রাখে।
হাড় হবে শক্তপোক্ত
হাড়ের জোর বাড়াতে চান তো নাকি? উত্তর হ্যাঁ হলে আজ থেকেই পাতে পাট শাকের পদ রাখুন। তাহলেই দেখবেন আপনার হাড়ের জোর বাড়তে সময় লাগবে না। এই পাতায় রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। এই দুই উপাদান কিন্তু হাড়ের ক্ষতি মেরামতির কাজে সিদ্ধহস্ত। অতএব অস্টিওপোরোসিসের মতো জটিল অসুখে ভুক্তভোগীদের ডায়েটে পাট শাক রাখতেই হবে।
প্রদাহ কমানোর কাজে সিদ্ধহস্ত
একাধিক ক্রনিক অসুখের পেছনে কলকাঠি নাড়ে প্রদাহ। তাই সুস্থ থাকতে যেনতেন প্রকারে ইনফ্লামেশন কমানোর চেষ্টা করতে হবে। এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে পাট শাক। এতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের ভাণ্ডার, যা কি না অক্সিডেটিভ স্ট্রেস দূর করার কাজে সিদ্ধহস্ত। এই কারণেই কমে প্রদাহের বাড়বাড়ন্ত। তাই সুস্থ সবল জীবনযাপন করার ইচ্ছে থাকলে ডায়েটে পাট শাক রাখতেই হবে।
কমবে পেটের সমস্যা
গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো পেটের সমস্যা কমানোর ইচ্ছে থাকলে আপনাকে পাতে রাখতেই হবে পাট শাক। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা কি না অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়লে যে পেটের অসুখের ফাঁদ এড়িয়ে চলা সম্ভব হবে, তা তো বলাই বাহুল্য!
তাই গ্যাস, অ্যাসিডিটিতে ভুক্তভোগীরা অবশ্যই নিয়ম করে পাট শাকের তরকারি বা পাট পাতার চা খান। তাহলেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়