হাই ব্লাড প্রেসারের মতোই আরেক বিপদের নাম হলো লো প্রেসার। এই অসুখে আক্রান্ত রোগীর শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই বিশেষজ্ঞরা বারবার লো প্রেসার নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। নইলে যে সমস্যার শেষ থাকবে না।
আসলে আমাদের রক্তনালীর ভেতর থেকে প্রবাহিত হয় রক্ত। সে সময় রক্তনালীর ভেতরে একটা চাপ তৈরি করে। সেই চাপকেই বলা হয় ব্লাড প্রেসার। শরীরের স্বাভাবিক ব্লাড প্রেসার হলো ১২০/৮০ এমএম/এইচজি। এই প্রেসারই যখন ৯০/৬০ এমএম/এইচজি-এর নিচে চলে যায়, তখন তাকে বলা হয় লো ব্লাড প্রেসার।
চিকিৎসকদের কথায়, লো ব্লাড প্রেসারে আক্রান্ত রোগীকে নিজের ডায়েটের দিকে নজর দিতে হবে। তাদের এমন খাবার খেতে হবে, যা প্রেসার বাড়াতে সাহায্য করে। তাই আর দেরি না করে তেমনই পাঁচটি খাবার সম্পর্কে জেনে নিন।
পর্যাপ্ত লবণ থাকুক পাতে
এমনিতে লবণ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তবে লো ব্লাড প্রেসার রোগীদের জন্য লবণ কিন্তু অমৃতের সমান। এই রোগীদের ডায়েটে একটু বেশি পরিমাণে লবণ রাখতে পারলেই সব থেকে বেশি উপকার মিলবে।
তাই লো ব্লাড প্রেসারের সমস্যায় ভুক্তভোগীরা অবশ্যই লবণ খাওয়া বাড়িয়ে দিন। বিশেষত, প্রেসার কমে যাওয়ার কারণে মাথা ঘুরলে তৎক্ষণাৎ পানিতে লবণ মিশিয়ে খেয়ে নিলে উপকার পাবেন। তাই এই নিয়মটা অবশ্যই মেনে চলুন।
ভিটামিন বি১২ যুক্ত খাবার খেতে হবে
লো ব্লাড প্রেসারের রোগীদের ডায়েটে ভিটামিন বি ১২ যুক্ত খাবার রাখতে হবে। এই খাবার চটচজলদি প্রেসার বাড়ায়। ভবিষ্যতে লো ব্লাড প্রেসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমায়। তাই নিয়মিত মাছ, মাংস, চিজ ও অন্যান্য দুগ্ধজাত খাবার পাতে রাখুন।
ফোলেট যুক্ত খাবার খেতে ভুলবেন না
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের শরীরেই ফোলেটের ঘাটতি রয়েছে। এই উপাদানের ঘাটতি থাকলেই একাধিক সমস্যা চেপে ধরে। সেই তালিকায় লো ব্লাড প্রেসারও রয়েছে। এই রোগে আক্রান্তদের ডায়েটে অবশ্যই ফোলেট যুক্ত খাবার রাখা দরকার। এক্ষেত্রে সবুজ শাক, সবজি, ডাল, ডিম, বিট ইত্যাদি পাতে রাখুন।
কফি হোক নিত্যসঙ্গী
কফি অত্যন্ত উপকারী একটি পানীয়। এতে রয়েছে ক্যাফিনের ভাণ্ডার। এই উপাদান ব্লাড প্রেসার বাড়াতে পারে। বিশেষত, হুট করে প্রেসার কমে যাওয়ার পরিস্থিতিতে কফি খেলে চটজলদি সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে। তবে শুধু কফি নয়, এই পানীয়র সঙ্গে চা খেলেও মিলবে উপকার। তবে দিনে ২ থেকে ৩ কাপের বেশি চা বা কফি খেলে চলবে না। এতে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।
পর্যাপ্ত পানিপান করা জরুরি
লো প্রেসারের রোগীদের দিনে কমপক্ষে চার লিটার পানি পান করা আবশ্যক। এতেই দেখবেন লো প্রেসারের মতো সমস্যাকে চটজলদি কমিয়ে ফেলতে পেরেছেন। তবে পানি পানের পাশাপাশি ডাবের পানি এবং খাবার স্যালাইন খান। তাতেও উপকার মিলবে।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়