নিজস্ব প্রতিবেদক ::
সিলেটের কানাইঘাট সুরইঘাট সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে চিনি আনার সময় আব্দুল কাদির (৪০) নামে এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
কানাইঘাট থানা পুলিশ সীমান্তবর্তী সোনাতনপুঞ্জি সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রের একটি ঘর থেকে শনিবার(২৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার সময় আব্দুল কাদিরের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিওমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
জানা যায়, গত শুক্রবার বিকেল ২টার দিকে কানাইঘাট লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের বড়বন্দ ২য় খন্ড গ্রামের আইয়ুব আলীর পুত্র সীমান্তের সোনাতনপুঞ্জি সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রের একটি ঘরের বাসিন্দা আব্দুল কাদির ও তার পুত্র সহ আরো কয়েকজন ভারতে অনুপ্রবেশ করে অবৈধভাবে চিনি আনার জন্য। চিনির নিয়ে বাংলাদেশে ফেরার সময় সীমান্ত এলাকার ১৩১৩নং পীলারের কাছে একটি টিলার উপরে রহস্যজনক ভাবে মারা যান আব্দুল কাদির। রাত ৮টার দিকে আব্দুল কাদিরের লাশ ১৩১৩নং পীলারের কাছ থেকে স্থানীয় আব্দুল আজিজ সহ কয়েকজন উদ্ধার করে সরকারি আশ্রয় প্রকল্পের ঘরে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে পৌঁছে দেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা জামাল উদ্দিন আব্দুল কাদিরের রহস্যজনক মৃত্যুর বিষয়ে জানান, মৃত আব্দুল কাদিরের কিশোর ছেলে তাকে জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে তারা পিতা-পুত্র ভারতে চিনি আনতে গিয়েছিলেন। ফেরার সময় হঠাৎ করে তার পিতা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় বমি করে তার পিতার মৃত্যু হয়েছে বলে জানায়।
তবে আব্দুল কাদির মৃত্যু নিয়ে তার পিতা আইয়ুব আলী বলেন, কিভাবে তার ছেলে ভারতে চিনি আগতে গিয়ে মারা গেছে তিনি তা জানেন না। তবে তিনি সহ তার পরিবারের সন্দেহ হচ্ছে আব্দুল কাদিরকে হত্যা করা হতে পারে। আব্দুল কাদিরের মাথায় আঘাত জনিত ছেঁছা জখমের চিহ্ন রয়েছে বলে তার পরিবার দাবী করেছেন।
বিষয়টি তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানা পুলিশকে অবহিত করা হলে পুলিশ শনিবার দুপুর ১২টায় আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর থেকে আব্দুল কাদিরের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে থানায় নিয়ে আসেন। পরে ময়না তদন্তের জন্য সিওমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ ব্যাপারে থানার সেকেন্ড অফিসার এস.আই সোহেল মাহমুদ বলেন, কিভাবে আব্দুল কাদির মারা গিয়েছেন তার সঠিক তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর এটি স্বাভাবিক মৃত্যু না হত্যা সেটি জানা যাবে।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়