Tuesday, August 20

পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:

শিক্ষার্থীদের চাপে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শামসুল আলম। একই সঙ্গে কোটা সংস্কারের আন্দোলনের বিরোধিতা করায় একাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। 

মঙ্গলবার বিকেলে তারা পদত্যাগ করেন। 

পদত্যাগের আগে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে প্রক্টরিয়াল বডির সব সদস্যসহ একাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এর আগে কোটা সংস্কারের আন্দোলনের শুরু থেকে এর বিরোধিতা করে উপ-উপাচার্য, অব্যাহতিপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মকর্তাগণের বিরুদ্ধে নানা উসকানিমূলক প্রচারণা ছড়ান। সেসময় থেকেই তাদের পদত্যাগ ও চাকরিচ্যুতের দাবি ওঠে।

প্রক্টরিয়াল বডির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া শিক্ষকরা হলেন, প্রক্টর ড. মো. কামরুজ্জামান, সহকারী প্রক্টর গাজী মো. মাহবুব ও পার্থ সারথি রায়। অন্যদিকে চাকরি থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সোলাইমান হোসেন মিন্টু, বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাকিয়া সুলতানা মুক্তা ও বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক ইমদাদুল হক শরীফ সোহাগ। এছাড়াও একই তালিকায় থাকা কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন সহকারী রেজিস্ট্রার নজরুল ইসলাম হীরা, নিরাপত্তা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা শেখ তারেক।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোহাম্মদ আলী ত্বোহা বলেন, আমরা দীর্ঘ একমাস ধরে ন্যায্য আন্দোলন করলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকে কোন সমর্থন পাইনি। উপরন্তু তারা সভা সমাবেশ ডেকে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের নানা রকম রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে এই আন্দোলন ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেন।

তিনি আরো জানান, আন্দোলন চলাকালীন সময়ে আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগকর্মীরা হামলা চালালেও প্রক্টরিয়াল বডি নীরব ভূমিকা পালন করেন। এসব দায়িত্বহীনতার জন্য আমরা আন্দোলনের সময় থেকে তাদের পদত্যাগ চেয়ে আসছি। 

উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব আচার্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুল আলম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর লিখিত পদত্যাগ পত্রে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক কল্যাণে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন।

এ বিষয়ে বারবার মোবাইলে রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। 

এ বিষয়ে উপ-রেজিস্ট্রার মো. মোরাদ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। শুধু শুনেছি যে শিক্ষার্থীরা তাদের পদত্যাগ ও চাকরিচ্যুত করার বিষয়ে দাবি তুলেছেন।

সূত্র: ডেইলি-বাংলাদেশ


শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়