Monday, February 12

কানাইঘাটে নিহত আলমগীরের খু নীদের দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস ওসির


নিজস্ব প্রতিবেদক: 

সিলেটের কানাইঘাট ঝিঙ্গাবাড়ী ইউপির তিনচটি গ্রামের নিহত সিএনজি চালিত  অটোরিকশা চালক আলমগীর হোসেনের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনদের খোঁজ-খবর সহ শান্তনা দিয়েছেন কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার। সোমবার (ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় নিহত আলমগীর হোসেনের বাড়িতে যান থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার। 


এ সময় তিনি নিহতের দুই অবুঝ ছেলে-মেয়ে ও পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়-স্বজনদের শান্তনা প্রদান করে বলেন, আলমগীর হোসেন হত্যাকান্ডের এজাহারভুক্ত আসামীদের গ্রেফতার করতে থানা পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলার তদন্ত কাজ করে যাচ্ছে। আসামীদের গ্রেফতার করতে প্রযুক্তি সহ নানা সহায়তার মাধ্যমে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে। আজ হোক আর কাল হোক ঘাতকরা গ্রেফতার হবেই। এজন্য আত্মীয়-স্বজনদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। আসামীদের গ্রেফতার করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সবাই সহায়তা করতে হবে।


ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন নিহত আলমীগেরর সহকর্মী সহ আত্মীয়-স্বজনদের ধৈর্য্য ধারনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, পুলিশের উপর আপনারা আস্থা রাখুন, আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে। নিহতের পরিবারের পাশে থানা পুলিশ রয়েছে। নিহতের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনরা থানা পুলিশের উপর তাদের আস্থা রয়েছে জানিয়ে দ্রুত মামলার আসামীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানান।  


এ সময় নিহত আলমগীর হোসেনের চাচা এখলাছুর রহমান, নজির আহমদ, মাস্টার এবাদুর রহমান, ফয়েজ আহমদ, মামলার বাদী নিহতের ছোট ভাই সালমান আহমদ, ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন, চাচাতো ভাই সুয়েবুর রহমান ও স্থানীয় ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির, সংবাদকর্মী মুফিজুর রহমান নাহিদ এর সাথে মামলার বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন। 


এছাড়াও নিহতের পরিবারের সদস্যদের শান্তনা দেন কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সভাপতি নিজাম উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুমিন রশিদ।  


গত ৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাত ৮টায় দিকে মোটর সাইকেলে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে কানাইঘাট উপজেলার গাছবাড়ী বাজারের পল্লীবিদ্যুৎ মোড়ে সিএনজি স্ট্যান্ডে স্থানীয় তিনচটি গ্রামের মৃত আলী আহমদ মিস্ত্রীর পুত্র সিএনজি চালক আলমগীর হোসেনের সাথে পার্শবর্তী আকুনি গ্রামের মৃত শাহাব উদ্দিনের পুত্র এলাকার বিভিন্ন অপকর্মের হুতা সাদিক আহমদ, তার ছোট ভাই কয়েস আহমদ উরফে সম্রাটের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সাদিক আহমদ ও তার ভাই কয়েস আহমদ সহ তাদের আরো ২ চাচাতো ভাইয়েরা মিলে সিএনজি চালক আলমগীর হোসেন এর উপর অতর্কিত হামলা করে ধারালো চাকু দিয়ে কুপিয়ে ঘটনাস্থলে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সুলতান আহমদ নামে একজনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করলেও মূল হুতা সহ অপর আসামীরা পলাতক রয়েছে।


শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়