নিজস্ব প্রতিবেদক::
কানাইঘাট পৌরসভার বায়মপুর গ্রামে বুধবার(১৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুপারি পাড়ার সময় সুপারি গাছ ভেঙে মাটিতে পড়ে সুমন আহমদ (১৫) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
রক্তাক্ত অবস্থায় সুমন আহমদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ তাকে মৃত ঘোষণা করে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেন।
পরে ঘটনার খবর পেয়ে কানাইঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত সুমন আহমদের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ সিওমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
স্থানীয়রা জানান, বায়মপুর গ্রামের হতদরিদ্র এখলাছুর রহমানের পুত্র একটি ওয়ার্কশপের কর্মচারী সুমন আহমদকে সুপারি পাড়ার জন্য একই গ্রামের রুহুল আমিন কালার স্ত্রী খাদিজা বেগম ও সৎ মাতা মনোয়ারা বেগম বুধবার সকাল ১০টার দিকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর কিশোর সুমন আহমদকে উঁচু একটি সুপারি গাছে সুপারি পাড়ার জন্য উঠানো হয়। সুপারি পাড়ার সময় সুপারি গাছ ভেঙে সুমন আহমদ মাটিতে পড়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হয়। এ সময় সুপারি গাছের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা ৫ বছরের এক শিশুও মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়। সাথে সাথে এ দু’জনকে উদ্ধার করে কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে সুমন আহমদকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষনা করেন।
নিহতের মা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, পাশর্বর্তী বাড়ির খাদিজা বেগম ও মনোয়ারা বেগম দু’দিন থেকে তাদের বাড়িতে সুপারি পাড়ার জন্য সুমন আহমদকে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেন। কিন্তু সুমন আহমদ সুপারি পাড়তে যেতে না চাইলেও বুধবার সকাল ১০টায় তাকে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে রুহুল আমিন কালার বাড়ির উঁচু সুপারি গাছে সুপারি পাড়ার জন্য উঠালে সুমন আহমদ সুপারি গাছ ভেঙে মাটিতে পড়ে মৃত্যুবরণ করে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন।
এ ঘটনায় থানায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়