Saturday, November 18

সিলেটে নির্বাচন করতে চান না হাফিজ মজুমদার


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক ::

য়স নব্বই ছুঁয়েছে। আর কন্টিনিউ করতে চান না হাফিজ আহমদ মজুমদার। এবার প্রার্থী হতে চান না; এরই মধ্যে তিনি বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি সিলেট-৫ আসনের বর্তমান আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি। স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে এ নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন। জানিয়েছেন- নির্বাচন না করার কথা। ১০ বছর আগেও রাজনীতিকে বিদায় জানিয়েছিলেন হাফিজ আহমদ মজমুদার। নির্বাচন করবেন না বলে ঘোষণা দিয়ে সরে দাঁড়ান। এ কারণে ২০১৪ সালের নির্বাচনে তার আসন সিলেট-৫ জাতীয় পার্টিকে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। তবে মাঝখানে জাতীয় পার্টিকে আসন দেয়া হলেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হঠাৎ করেই আওয়ামী লীগ থেকে তাকে প্রার্থী করা হয় এবং তিনি নির্বাচনে জয়লাভ করেন।

হাফিজ মজুমদার নিজেও বলেছেন; বয়সের কারণে বিগত ৫ বছর তিনি মানুষের কাছাকাছি থাকতে পারেননি।

এতে অনেকটা বিচ্ছিন্ন ছিলেন। এই অবস্থায় তার ইলেকশনে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। নতুনদের জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে চান তিনি। যোগ্যরা এমপি হলে এলাকার (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট) আরও উন্নয়ন হবে বলে জানান তিনি। প্রশ্ন করা হলো- দল মনোনয়ন দিলে তিনি নির্বাচন করবেন কিনা?

জবাবে হাফিজ আহমদ মজুমদার জানান, ‘আওয়ামী লীগও আর চাইবে না। বাধ্যর্কের চাপে আছি। দল বলবে না। তবে তিনি মনে করেন- যে ইলেকশন আসছে, সে ইলেকশনকে অর্থবহ করে নিতে হবে। ইলেকশন যেভাবে আসছে; এটা দেশের কল্যাণ সাধিত হবে না। আশা করেন এবং বিশ্বাস করেন- সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য ইলেকশন হবে। যেখানে যেনো জনগণের মতের প্রতিফলন হয়। জানান, ‘আমি বিশ্বাস করি; দলের উপর আমার বিশ্বাস আছে, দল সেরকম নির্বাচনই করবে।’ সিলেটের শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক অবদান হাফিজ মজুমদারের। কিন্তু এ অবদানে তিনি সন্তুষ্ট নয়। এ ক্ষেত্রে আরও বেশি কাজ করার ইচ্ছা তার। যতদিন বেঁচে থাকবেন, শিক্ষা প্রসারে তিনি কাজ করে যাবেন বলে জানান। বাংলাদেশের ভিক্ষাবৃত্তি দূর করার স্বপ্ন ছিল তার। কিন্তু সেটিও হয়নি। রাষ্ট্র উন্নত হলে সেটি একদিন হবে বলে মনে করেন হাফিজ আহমদ মজুমদার। সিলেট-৫ আসন থেকে ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৮ সালে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। জীবনের পড়ন্ত বেলায় সিলেটের সম্প্রিতি নিয়ে গর্ববোধ করেন। বলেন, ‘বৃহত্তর সিলেট জেলা পলিটিক্যাল সম্প্রিতি সবার জন্য অনুকরণীয়। আমরা যে যে দল করি না কেনো সম্পর্ক থাকেই।’ 

এদিকে, হাফিজ আহমদ মজুমদারের আসনে এবার নৌকা থেকে মনোনয়ন চাইছেন সিলেট নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ড. আহমদ আল কবির, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট মোস্তাক আহমদ, জকিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান লোকমান আহমদ চৌধুরী। পাশাপাশি উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম আল্লামা আব্দুল লতিফ চৌধুরী ফুলতলীর হাতে গড়া আল ইসলাহ’র একটি ভোট ব্যাংক রয়েছে এ আসনে। একই সঙ্গে কানাইঘাটে জমিয়তের রয়েছে ভোট ব্যাংক। ফলে দুটি ইসলামী দলের কাছে এ আসনটি সমানভাবে পছন্দের। জামায়াতে ইসলামী থেকে ২০০১ সালে এ আসন থেকে এমপি হয়েছিলেন ফরিদ উদ্দিন আহমদ। ফলে জামায়াতের অবস্থানও রয়েছে এ আসনে। এবারের ভাগ বাটোয়ারায় জাতীয় পার্টিও এ আসনটি চাচ্ছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে এ আসন থেকে প্রার্থী হয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন সেলিম উদ্দিন। তিনি এবার নিজ এলাকা বিয়ানীবাজার থেকে মনোনয়ন চাইছেন। ফলে জাতীয় পার্টি থেকে আলোচনায় আছেন সিলেট জেলা ছাত্রসমাজের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেনের নাম। নতুন মুখ হিসেবে তালিকায় আছেন সিলেট-৪ আসন থেকে মনোনয়ন চাওয়া মুজিবুর রহমান ডালিমও। এ ছাড়া- দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুদ্দিন খালেদ ও জাপার প্রবীণ নেতা শাব্বির আহমদের নামও শোনা যাচ্ছে।

সূত্র: দৈনিক মানবজমিন



শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়