নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিলেটের কানাইঘাটে চাঞ্চল্যকর কামিল হত্যা মামলার মাস্টারমাইন্ড তোতা মিয়াকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে কানাইঘাট সার্কেলের এএসপি অলক কান্তি শর্মার দিকনির্দেশনায় এবং থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম দস্তগীর আহমেদের নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই সনজিত কুমার রায়,এসআই রাম চন্দ্র দেব, এসআই মাছুম আলম অভিযান চালিয়ে জৈন্তাপুর উপজেলার ছইয়া গ্রামের শাহাব উদ্দিনের বাড়ি থেকে কামিল হত্যা মামলার মাস্টারমাইন্ড তোতা মিয়া (৬০) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত তোতা মিয়া দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের নিজ বাণীগ্রাম গ্রামের মৃত মজিদ আলীর পুত্র।
প্রসজ্ঞত, জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের নিজ বাণীগ্রাম গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দিনের পুত্র কামিল আহমদের সাথে তার আপন চাচা আলা উদ্দিনের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। কামিল আহমদের বাবা-মা ছোটবেলা মারা যাওয়ার পর চাচা আলা উদ্দিন তাদের বেশ কিছু পৈত্রিক সম্পত্তি জবর দখল করে নেন। এতে প্রতিবাদ করে আসছিলেন কামিল আহমদ। যার কারনে তার উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে চাচারা পূর্বে হামলা করে গুরুতর আহত করেছিল।
গত ২১ আগস্ট রাত ১০টার দিকে কামিল আহমদ স্থানীয় গাছবাড়ী বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে গ্রেফতারকৃত আসামী তোতা মিয়ার পরিকল্পনা অনুযায়ী আলা উদ্দিন,নিজাম, শরীফ, শাহিন, ছয়ফুল আলম, হারুন রশিদ গংরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কামিল আহমদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে তার পা ভেঙ্গে ফেলে এবং পিটিয়ে গুরুতর আহত করে উল্লাশ করে চলে যায়। আশংকাজনক অবস্থায় কামিল আহমদকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলচিকীৎসাধীন অবস্থায় কামিল আহমদ মৃত্যু বরণ করেন।
এ ঘটনায় নিহতের বোন শারমীন বেগম বাদী হয়ে চাচা আলা উদ্দিন, মাস্টারমাইন্ড তোতা মিয়া সহ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম দস্তগীর জানান, 'কামিল আহমদ হত্যার পরপরই সকল আসামীরা আত্মগোপনে চলে যায়। নিহত কামিল ও আসামীরা একই গোষ্টীর লোক এবং আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের গ্রেফতারের বিষয়ে এলাকার লোকজন কোনো তথ্য পুলিশকে প্রদান না করায় থানা পুলিশকে আসামীদের গ্রেফতারে চরম প্রতিকুলতার সম্মুখীন হতে হয়। অতঃপর কামিল হত্যা মামলার মাস্টারমাইন্ড তোতা মিয়াকে গ্রেফতার করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী তোতা মিয়া ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। আরো তথ্য উদ্ঘাটন করতে আদালতে গ্রেফতারকৃত আসামী তোতা মিয়ার রিমান্ড চাওয়া হবে।'
অপরদিকে কামিল হত্যা মামলার পরিকল্পনাকারী তোতা মিয়া গ্রেফতার হওয়ার মামলার বাদী শারমিন বেগম থানা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। আসামী তোতা মিয়াকে রিমান্ডে আনার জন্য থানা পুলিশের প্রতি দাবী জানিয়েছেন।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়