নিজস্ব প্রতিবেদক:
কানাইঘাট উপজেলার সাতবাঁক ইউনিয়নের জুলাই (মাঝরচটি) গ্রামে গাছ কাটার সময় গাছের কাটা ডাল পড়ে গত শুক্রবার(১৩ জানুয়ারি)পঞ্চাশোর্ধ্ব এক ব্যাক্তির মৃত্যু নিয়ে এলাকায় ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম আব্দুল হাফিজ কুটন।
নিহতের পরিবারের স্বজনরা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে দাবী করলে থানা পুলিশ ঘটনার সত্যতা জানার জন্য গত শনিবার(১৪ জানুয়ারি) বিকেলে গাছ কাটার সাথে জড়িত পৌরসভার বায়মপুর বদিকোনা গ্রামের ফয়জুর রহমানের পুত্র আশিক উদ্দিন (২৭), একই গ্রামের মৃত আছদ রাজার পুত্র আলা উদ্দিন (৫০) ও লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের ভাল্লুকমারা গ্রামের বাবুল উদ্দিনের পুত্র সুহেল আহমদ(২৯) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে আনেন।
পরবর্তীতে নিহতের পরিবারে লোকজন গাছের কাটা ডাল পড়ে মৃত্যুর ঘটনায় গাছ কাটার সাথে জড়িত এ তিনজনকে দায়ী করে নিহতের ভাই মৃত উমেদ রাজার পুত্র হামিদুল হক বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে থানা পুলিশ তিনজনকে আটক করে। পরে থানা পুলিশ মামলা রেকর্ড করে আটককৃত তিনজনকে সোমবার(১৬ জানুয়ারি)আদালতে সোপর্দ করে। থানার মামলা নং-১১, তারিখ- ১৫/০১/২০২২ইং।
অপরদিকে স্থানীয়রা জানান, বায়মপুর বদিকোনা গ্রামের গাছ ব্যবসায়ী মাওলানা হাবিব আহমদ জুলাই (মাঝরচটি) গ্রামের নিহত মৃত আছদ রাজার পুত্র আব্দুল হাফিজ কুটনের কাছ থেকে তার চারা বাড়িতে থাকা বিভিন্ন জাতের ১০টি গাছ ক্রয় করেন। উক্ত গাছ কাটার জন্য গত শুক্রবার সকালে ব্যবসায়ী হাবিব আহমদ লোক নিয়ে হাফিজ আহমদ কুটনের চারা বাড়িতে যান। গাছ কাটার একপর্যায়ে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে দিনমজুর আশিক উদ্দিন একটি গাছের মগডাল কেটে নিচে ফেললে সেটি অসাবধানতা বশত হাফিজ আহমদ কুটনের মাথায় পড়ে গুরুতর রক্তাক্ত আহত হন। সাথে সাথে তাকে গাছ কাটার শ্রমিক দিনমজুর আলা উদ্দিন, আশিক উদ্দিন ও সুহেল আহমদ আহত আব্দুল হাফিজ কুটনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। পরে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঐদিন বিকেলের দিকে মারা যান আব্দুল হাফিজ কুটন।
এদিকে গাছ কাটার কাজের দিনমজুর আটক এ তিনজনের পরিবারের স্বজনরা জানান, বদিকোনা গ্রামের গাছ ব্যবসায়ী হাবিব আহমদ দিনমজুর হিসেবে তাদেরকে গাছ কাটার জন্য নিয়ে যান। সেখানে গাছ কাটার সময় হঠাৎ করে আব্দুল হাফিজ কুটন গাছের নিচে চলে আসলে গাছের কাঁটা মগডালের অংশ মাটিতে পড়লে পাশে থাকা আব্দুল হাফিজ কুটন মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন। ইচ্ছাকৃত ভাবে তারা এ ঘটনাটি ঘটাননি। তারা দিনমজুরি করে জীবিকা নির্বাহন করেন। কিন্তু তাদেরকে অহেতুক ভাবে নিহতের পরিবারের লোকজন দায়ী করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম পিপিএম এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গাছের মগডালের কাটা টুকরো পড়ে আব্দুল হাফিজ কুটনের মৃত্যু হতে পারে। নিহতের পরিবার তাকে হত্যা করা হয়েছে থানায় অভিযোগ দেয়ার পর গাছ কাটার সাথে জড়িত ৩জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা নেয়া হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টের আব্দুল হাফিজ কুটন কিভাবে মারা গেছেন তার কারণ জানা যাবে।
জুলাই মা্দ্রাসার মুহতমিম জনাব মাওলানা আব্দুল কুদ্দুছ জানান দূর্ঘটনা হলে তিনজনের একজন অন্তত বাড়িতে খবর দিতে পারতেন বা আশেপাশের লোককে জানান দিতে পারতেন। তারা বাড়িতে খবর দেন নি বা আশপাশের লোককে জানান দেননি।
ReplyDeleteপথচারি আহতের মূমুর্ষু অবস্থা দেখে তাদেরকে হাসপাতালে নেয়ার তাগিদ দেন ও গাড়ি ব্যবস্থা করে হাসপাতালে পাঠান।
আরো খোজ - খবর নিয়ে ফলোআপ নিউজ দেয়া যেতে পারে
মূল্যবান মতামতের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
ReplyDelete