ইন্দোনেশিয়ার প্রধান দ্বীপ জাভায় ভূমিকম্পে কমপক্ষে ১৬২ জন নিহত এবং শত শত মানুষ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আঞ্চলিক গভর্নর রিদওয়ান কামিল। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্য অনুযায়ী, ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পটি পশ্চিম জাভার সিয়ানজুর শহরে আঘাত হানে। ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।
বহু লোককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং অনেককে বাইরে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ধসে পড়া ভবনের নিচে আটকে পড়া মানুষকে বাঁচানোর জন্য উদ্ধারকারীরা কাজ করছে। যে এলাকায় ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে, সেই এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ এবং ভূমিধসের প্রবণতা রয়েছে। অনেক এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে নির্মিত ঘরগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
তবে নিহতের সঠিক সংখ্যা সম্পর্কে পরস্পরবিরোধী তথ্য পাওয়া গেছে। অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকায় এখনই সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান পাওয়া কঠিন। এর আগে, ইন্দোনেশিয়ার ন্যাশনাল ডিজাস্টার মিটিগেশন এজেন্সি (বিএনপিবি) জানায়, সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী অন্তত ৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কামিল স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ১৩ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বিএনপিবি জানায়, ২ হাজার ২০০টিরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর আগে, পশ্চিম জাভার গভর্নর কামিল বলেছিলেন, ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
তিনি বলেন, আহত ও নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। কারণ ঘটনাস্থলে এখনও অনেক লোক আটকে আছে। পশ্চিম জাভার গভর্নর বলেছেন, ভূমিকম্পের পর একটি হাসপাতাল কয়েক ঘন্টা বিদ্যুৎবিহীন থাকায় আহতদের অনেককে হাসপাতালের গাড়ি পার্কিং এলাকায় চিকিৎসা করা হয়েছে।
প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে রাজধানী জাকার্তায়ও কম্পন অনুভূত হয়েছে। সেখানে উঁচু ভবনের লোকদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পশ্চিম ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় সময় সোমবার দুপুর ১টা ২১ মিনিটে কম্পন শুরু হলে ভবনগুলো থেকে মানুষ ছুটে বের হয়ে আসে।
ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্প আঘাত হানে। দেশটিতে বিধ্বংসী ভূমিকম্প ও সুনামির ইতিহাস রয়েছে। সেখানে ২০১৮ সালের সুলাওয়েসি দ্বীপে ভূমিকম্পে ২ হাজার জনেরও বেশি নিহত হয়েছে। সূত্র: বিবিসি
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়