নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের বড়চাতল গ্রামে ট্র্র্যাক্টর দিয়ে হালচাষকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত নাজির আহমদ (১৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
কানাইঘাট থানা পুলিশ এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মূল হুতা শুক্কুর আলীকে বুধবার(৩১আগস্ট)বিকেলে এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটক করেছে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, বড়চাতল গ্রামের লুৎফুর রহমানের ছেলে নাজির আহমদ গত মঙ্গলবার(৩০আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে ট্র্যাক্টর দিয়ে হালচাষ করার সময় একই গ্রামের মৃত তজম্মুল আলীর পুত্র শুক্কুর আলী ও তার পুত্র দেলোয়ার হোসেন তাদের ক্ষেতের বেশ কিছু জমি ট্র্যাক্টর দিয়ে হালচাষ করে দেয়ার জন্য নাজির আহমদকে বলে। নাজির আহমদ তাদের বলে নিজ জমি হালচাষ করবে, এখন তাদের জমি হালচাষ করিতে পারবে না। এ নিয়ে নাজির আহমদের সাথে শুকুর আলী ও তার ছেলে দেলোয়ার হোসেনের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শুকুর আলী ও তার ছেলে দেলোয়ার তাদের পরিবারের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নাজির আহমদের উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে।
পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় নাজির আহমদকে উদ্ধার করে সিলেট ওসামনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে নাজির আহমদ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
এ ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক কানাইঘাট সার্কেলের এএসপি আব্দুল করিম, থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম পিপিএম, ওসি (তদন্ত) দিলীপ কুমার নাথ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের আটক করতে এলাকায় অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
বুধবার থানার ওসি (তদন্ত) দিলীপ কুমার নাথ ও সেকেন্ড অফিসার সোহেল মাহমুদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের মূলহুতা শুকুর আলীকে বড়চাতল এলাকা থেকে আটক করতে সক্ষম হন।
থানার ওসি (তদন্ত) জানান, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। মামলা প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রয়েছে। ট্র্যাক্টর দিয়ে হালচাষ কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে নাজির আহমদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়