নিজস্ব প্রতিবেদক::
পবিত্র ঈদ উল-আযহার দিনে কানাইঘাট উপজেলার বন্যাদূর্গত দিঘীরপার ও সাতবাঁক ইউনিয়নের কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নেওয়া বন্যাদূর্গত দু’শতাধিক নারী-পুরুষ শিশুদের মাঝে ঈদের খাবার বিতরণ করে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম পিপিএম প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্যাদূর্গত পরিবারের সদস্যদের মাঝে নিজ হাতে ঈদের দিন দুপুরে কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্রে নিজে উপস্থিত থেকে বিরানি সহ খাসির মাংস রান্না করে পেট ভরে নারী-পুরুষ ও শিশুদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়ার খাবার বিতরনের ছবি ছড়িয়ে পড়লে ওসি তাজুল ইসলাম পিপিএম এর এমন মহৎ মানবিক কর্মকান্ডের প্রশংসা করছেন সবাই।
আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরত ২’শতাধিক লোকজন পেট ভরে খেয়ে ঈদের আনন্দ পুলিশের সাথে ভাগাভাগি করেন। তারা বলেন, কল্পনাও করতে পারেননি ঈদের দিন বাড়ী-ঘরে যেতে না পেরে আশ্রয়কেন্দ্রে থেকেও ইচ্ছামতো বিরানী ও খাসির মাংস দিয়ে তারা খাবার খাবেন।
থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম, থানার ওসি তদন্ত দিলীপ কান্তনাথ সহ পুলিশের সদস্যরা নিজে পরে বন্যাদূর্গতদের মাঝে খাবার বিলিয়ে দিয়েছেন। ঈদের প্রকৃত আনন্দ তারা উপভোগ করেছেন।
প্রসঙ্গত যে, কানাইঘাট প্রথম ২য় দফা বন্যা দেখা দেওয়ার পর থেকে সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএমের দিক নির্দেশনায় কানাইঘাট থানা পুলিশ বন্যাদূর্গত মানুষের পাশে থেকে শত শত পরিবারের মধ্যে ত্রান সামগ্রী বিতরণ ও উপজেলা সব কয়েটি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরতদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ ও শুকনো খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে প্রশংসা কুড়িয়েছে পুলিশ। থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম বলেন, বন্যাদূর্গত মানুষের পাশে পুলিশ সব সময় ছিল। ঈদের দিন বিশেষ করে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানরত বন্যাদূর্গত পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদের আনন্দে সামিল হতে আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে এ খাবারের উদ্যোগ নিয়েছি। তাদের মধ্যে ঈদের দিন দুপুর বেলা খাবার বিতরন ও ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পেরে থানা পুলিশের প্রত্যেক সদস্য আনন্দিত হয়েছেন।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়