মুখস্থনির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আনন্দময় শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়নের তাগিদ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি।
তিনি বলেন, খুব বেশি পরীক্ষানির্ভর, সনদ সর্বস্ব এবং মুখস্থনির্ভর ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে আনন্দময় শিক্ষা দিতে চাই। শিক্ষাকে আনন্দময় করতে আমরা প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক এবং মাধ্যমিকের জন্য নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করেছি।
ADVERTISEMENT
মঙ্গলবার (৩১ মে) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. দীপু মনি বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের যে দক্ষতাগুলো দেব, সেগুলো কর্ম উপযোগী হতে হবে। আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিক্ষায় শিক্ষিত হোক। অনেক সূত্র মুখস্থ করেছি, কিন্তু সেগুলো দেখতে বা ছুঁতে পারি না। না বুঝতে পারি। এই শিক্ষার কোনো দাম নেই।
সমাবর্তন বক্তার বক্তব্যে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিউপি) বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের অনেক স্থাপনার নামকরণ করেছিলেন। আপনারা যে ব্যাংকের নামগুলো বাংলায় দেখেন, সেগুলো বঙ্গবন্ধুর করা। গণস্বাস্থ্য নামটিও বঙ্গবন্ধুর দেওয়া। এমনকি সেনা কল্যাণ সংস্থার নামটিও বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন। আমার কাছে দলিল আছে। বঙ্গবন্ধু কোনোদিন বাংলা ছাড়া অন্য কোনো নামকরণ করেননি। সুতরাং এই বাংলাদেশে কেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ইংরেজিতে মেরুর মতো হবে? উত্তর মেরু, দক্ষিণ মেরু; উত্তর-দক্ষিণ এমন হবে!
সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি অবশ্যই বাংলা কোনো নাম হতে পারে। এ জন্য আমি শিক্ষামন্ত্রী এবং মঞ্জুরি কমিশনের কাছে বিনীত অনুরোধ করব, বাংলা নাম না হলে কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেবেন না। আমি হলে এমনটা করতাম না।
ADVERTISEMENT
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্যদের (এমপি) নামের আগে ‘সাংসদ’ শব্দ ব্যবহার প্রসঙ্গে অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, যদিও সাংসদ বলা নিয়ে সরকারিভাবে আপত্তি উঠেছে। তবে ব্যাকরণগতভাবে সাংসদ বলাতে কোনো ত্রুটি আমি পাই না। কারণ ব্যাকরণে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে কুড়ি নম্বরের মধ্যে কুড়ি নম্বরই পেয়েছি আমি।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিক, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফৈয়াজ খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়