নিজস্ব প্রতিবেদক :
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। পৌর শহরসহ আশপাশ এলাকায় কিছুটা পানি কমলেও হাওর ও সমতল এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে।
রবিবার সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ১২১ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সুরমা নদীর পানি কিছুটা কমলেও সুরমা ডাইকের গৌরিপুর-কুওরঘড়ি এলাকায় ৬ টি ভাঙ্গন কবলিত পয়েন্ট দিয়ে তীব্র গতিতে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় কাঁচা বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এখনও উপজেলার বেশির ইউনিয়নের হাজারহাজার বাড়ি-ঘর বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতরভাবে জীবন যাপন করছেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী ও নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্তব্যানার্জি রবিবার বন্যা কবলিত দক্ষিণ বাণীগ্রাম, ঝিঙ্গাবাড়ী ও রাজাগঞ্জইউনিয়নের বন্যা কবলিত এলাকা সুরমা নদী যোগে পরিদর্শন করেন।
এ সময় তাদের সাথে ছিলেন- বাণীগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার লোকমান উদ্দিন, রাজাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যানমাও. সামছুল ইসলাম, লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপি চেয়ারম্যান তমিজ উদ্দিন।
এছাড়া ২নংলক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণের চাল বিতরণ করেন তারা।ইতিমধ্যে বন্যা দুর্গতদের জন্য বরাদ্দকৃত ১৯ মেট্রিকটন চাল প্রতিটি ইউনিয়নে পৌঁছে দেয়া হয়েছে এবং বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি জানান।
আরো ত্রাণ সামগ্রী ও শুকনো খাবার সরকারের পক্ষ থেকে বরাদ্দ দেওয়ার প্রক্রীয়ায় রয়েছে।
এদিকে ভয়াবহ বন্যার কারনে উপজেলার অধিকাংশ এলাকার গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে। বহু শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছে। এখন পর্যন্ত সিলেট শহরের সাথে সড়কযোগাযোগ স্বাভাবিক হয়নি। বন্যায় মৎস্য খামার ও গবাদি পশুর খামার সহ অন্যান্য কৃষি সেক্টরের বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই মুহুর্তে সরকারের পাশাপাশি বন্যা দুর্গত এলাকায়
বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, বিত্তশালী ও দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকেএগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়েছে।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়