নিজস্ব প্রতিবেদক :
সিলেটের কানাইঘাটে এক ভূক্তভোগী নিরীহ পরিবার তাদের কোটি টাকা মূল্যের জমি প্রভাবশালীদের জবর দখল থেকে রক্ষা সহ জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় কানাইঘাট প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বড়চতুল দূর্গাপুর সরুফৌদ গ্রামের মৃত মাওলানা শফিক আহমদের স্ত্রী মরিয়ম বেগম বলেন, তাদের মালিকানাধীন দখলীয় স্থানীয় চতুল বাজারের ভূমি অফিসের পাশে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের ৫ শতক দোকান কোটা শ্রেনির ভূমি রয়েছে।
দীর্ঘদিন থেকে তাদের মালিকানাধীন উক্ত ভূমি থেকে বেদখল করার জন্য দূর্গাপুর গ্রামের অত্যন্ত প্রভাবশালী মৃত মুদরিছ আলীর পুত্র হাজী ইসমাইল আলী গংরা পায়তারা করে আসছে। কয়েকবার তারা আমাদের কোটি টাকা মূল্যের ভূমি জোর পূর্বক ভাবে দখল করার জন্য সেখানে পাকা ঘর নির্মানের চেষ্টা করলে আমরা আইনের আশ্রয় নেই। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা স্বত্বেও উক্ত ভূমিতে ইসমাইল আলী ও মুবশি^র আলী গংরা ঘর নির্মানের চেষ্টা চালায়।
সংবাদ সম্মেলনে মরিয়ম বেগম আরো বলেন, তার স্বামী মাওলানা শফিক আহমদ জমি রক্ষা করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন। অনুমানিক কয়েক বছর পূর্বে জালজালিয়াতির মাধ্যমে দলিল সম্পাদনা করে ইসমাইল আলী গংরা চতুল বাজারে অবস্থিত কোটি টাকা মূল্যের আমার সম্পত্তি জোর পূর্বক ভাবে দখল করার জন্য নানা ভাবে পায়তারা সহ আমি এবং আমার ছেলে-মেয়েদের নানা ভাবে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে আসছিল।
সর্বশেষ বিগত ১৮/১২/২১ইং তারিখে সন্ধ্যা অনুমান ৬টার দিকে আমার ছেলে ফুজায়েল আহমদ (২১) বাড়ী থেকে চতুল বাজারে গেলে আর সে বাড়ীতে ফিরে না আসায় তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকার কারনে আমি নিজে বাদী হয়ে কানাইঘাট থানার আমার ছেলের নিখোঁজের ঘটনায় ২১/১১/২১ইং তারিখে জিডি নং-৯৩০ রুজু করি। ২২/১২/২০২১ইং তারিখে আমার ছেলেকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাই। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে বলে তাকে প্রানে হত্যা করার জন্য ইসমাইল আলী ও তার সহযোগিরা তাকে বিভিন্ন কুট কৌশলে আশ্রয় নিয়ে চতুল বাজার ব্রীজের উপর থেকে গাড়ীতে উঠিয়ে জোর পূর্বক ভাবে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।এরপর তাকে রক্তাক্ত ভাবে মারধর করে সিলেট রেল ষ্টেশন নিয়ে রেলের নীচে ফেলে হত্যার চেষ্টা করিলে সে আহত অবস্থায় সেখানে ভর্তি হয়। আমাদের কোটি টাকা মূল্যের জমি দখল করার জন্য পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আমার ছেলে ফুজায়েলকে হত্যার চেষ্টা ও অপহরনের দায়ে বিগত ২৬/১২/২১ ইং তারিখে সিলেট আমলী আদালত নং-৫ ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪র্থ আদালতে ঘটনার সাথে জড়িত ইসমাইল আলী ও মুবশি^র সহ ৬জনকে আসামী করে আমি নিজে বাদী হয়ে কানাইঘাট সিআর মামলা নং-৩৮৮/২১ দায়ের করি।
পরবর্তীতে থানা পুলিশ আদালতে মামলা রেকর্ড করলেও আসামীদের অব্যাহত হুমকির মুখে মামলার ৩জন সাক্ষী তাদের কথামতো আদালতে এফিডেভিট দিয়েছে বলে তারা আমাকে জানিয়েছেন। এখনো পর্যন্ত মামলার আসামীরা গ্রেফতার না হওয়ায় তারা প্রতিনিয়ত আমি সহ আমার ছেলে-মেয়েদের নানা ভাবে প্রাননাশের হুমকি দেওয়ার কারনে বাড়ী ঘর ছেড়ে বর্তমানে আমরা একে বারে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।
এমতাবস্থায় জানমালের নিরাপত্তা সহ কোটি টাকা মূল্যের চতুল বাজারে অবস্থিত দোকান কোটা শ্রেনীর ভূমি ইসমাইল আলী গংদের জবর দখলের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সিলেটের আইন-শৃংখলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নিরীহ মরিয়ম বেগম। সংবাদ সম্মেলনে মরিয়ম বেগমের ছেলে-মেয়েরা উপস্থিত ছিলেন।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়