Thursday, December 2

কানাইঘাটে কমিউনিটি সেন্টারে জোড়া লাশ : ‘রহস্য উদঘাটন’!


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক :


সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের গাছবাড়ী বাজারস্থ আনন্দ কমিউনিটি সেন্টারের একটি কক্ষ থেকে গতকাল বুধবার (১ ডিসেম্বর) এক মহিলা ও এক পুরুষ বাবুর্চির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।


একসঙ্গে এই দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় নানা কথা ওঠলেও পুলিশ বলছে- ছোট বদ্ধ কক্ষে প্রচুর ধোয়ায় অক্সিজেনের অভাবে দুজনের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে।


 

এ বিষয়ে  বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখেছি। আলামত এবং অসুস্থ তৃতীয় বাবুর্চির বক্তব্যের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে এটাই নিশ্চিত হওয়া গেছে- বদ্ধ ঘরে তারা শীত নিবারণের জন্য কয়েল লাকড়িতে আগুন ধরিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। ওই ঘরে কোনো ভ্যান্টিলেটর ছিলো না। দরজা-জানালা দুটিও বন্ধ ছিলো। সেই লাকড়ির আগুনের ধোয়ায় ঘর ভরে গিয়ে অক্সিজেনের অভাবেই তাদের মৃত্যু ঘটে।


বুধবার সকাল ৭টার দিকে আনন্দ কমিউনিটি সেন্টার থেকে এক মহিলা ও পুরুষ বাবুর্চির লাশ উদ্ধার করা হয়। সেই সাথে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আরও এক বাবুর্চিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


নিহত বাবুর্চিরা হলেন- কানাইঘাট উপজেলার নয়াগ্রামের মৃত রহমত উল্লাহ’র ছেলে সুহেল আহমদ (২৮) ও ওসমানীনগর উপজেলার তাহিরপুর গ্রামের মৃত আক্কাছ আলীর মেয়ে সালমা বেগম (৪০) এবং অসুস্থ বাবুর্চি হলেন কানাইঘাট উপজেলার ব্রাহ্মণগ্রামের নাজিম উদ্দিন।


 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের রান্না করার জন্য আনন্দ কমিউনিটি সেন্টারে যান সুহেল আহমদ, সালমা বেগম ও নাজিম উদ্দিন। রান্না শেষে রাত ৩টার দিকে তারা কমিউনিটি সেন্টারের ২য় তলার একটি ছোট কক্ষে শুয়ে পড়েন। বুধবার সকাল ৭টার দিকে ঘুম থেকে এ ৩জন না উঠলে বিয়ের আয়োজনকারী জসিম উদ্দিন তাদের ডাকতে রুমে যান। ডাকাডাকির পরও তারা ঘুম থেকে না উঠলে একপর্যায়ে কক্ষের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে জসিম উদ্দিনসহ কয়েকজন দেখতে পান- বাবুর্চি সুহেল আহমদ, নাজমা বেগম ও নাজিম এলোমেলো অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এবং কক্ষের ভেতর ধোয়ায় আচ্ছন্ন। এসময় এ তিনজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ সুহেল ও সালমা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় নাজিম উদ্দিনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।


নিহতদের লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।


লাশ উদ্ধারের পর কানাইঘাট থানার ওসি (তদন্ত) জাহিদুল হক  বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে- যে রুমে তারা শুয়েছিলেন রুমটি ছোট ছিল। যার কারণে ধোয়া বের হতে পারেনি ঠিকমতো। তাই অক্সিজেনের অভাবে সুহেল আহমদ ও সালমা বেগমের মৃত্যু হয়েছে।


সৌজন্যে : সিলেট ভিউ 





শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়