নিজস্ব প্রতিবেদক :
কানাইঘাট উপজেলার ৭নং দক্ষিণ বানীগ্রাম ইউনিয়নের লামা দলইকান্দি গ্রামে রবিবার বিকেল ৩টার দিকে খাল থেকে মাছ ধরা নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় আলকাছ পীর (৫০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম পিপিএম ও থানার ওসি (তদন্ত)জাহিদুল হক ও বানীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ আহমদ।
পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে সিলেট মর্গে প্রেরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
জানা যায়, লামাদলইকান্দি গ্রামের মৃত আবু বক্করের ছেলে আলকাছ পীর তার বাড়ীর উত্তর পাশে অবস্থিত এজমালী খাল মসজিদ থেকে নিলাম রাখেন। রবিবার বিকেল ৩টার দিকে আলকাছ পীরের ছেলে হাসান সেখানে পানি শুকিয়ে মাছ ধরতে গেলে একই গ্রামের ফয়জুল হকের ছেলে নাঈম ও তার চাচাতো ভাই রেজাউল বাধা প্রদান করে। একপর্যায়ে সেখানে গিয়ে আলকাছ পীর তার ছেলে হাসানকে মাছ না ধরার জন্য বকাবকি করেন। তখন নাঈম আলকাছ পীরকে বলে তুমি কেন আমাকে গালিগালাজ করছ তখন আলকাছ পীর বলে আমি আমার ছেলে হাসানকে বকাবকি করছি।
এ কথা বলার পর নাঈমের সাথে তার কথা কাটাকাটি শুরুহয়।
একপর্যায়ে নাঈম রাস্তার বেড়া থেকে একটি বাঁশের খুটি নিয়ে আলকাছ পীরেরনমাথায় আঘাত করে। এ সময় নাঈমের চাচাতো ভাই রেজাউল দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পুনরায় আলকাছ কে আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এব্যাপারে থানার ওসি মোঃ তাজুল ইসলাম পিপিএমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। কথা কাটাকাটির জের ধরে নাঈম ও রেজাউল আলকাছকে আঘাত করা হলে তিনি মারা যান বলে নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন। তার লাশ আমরা উদ্ধার করেছি ময়না তদন্তের জন্য সিওমেক মর্গে প্রেরনকরা হবে।
এ ঘটনার সাথে জড়িতদের আটক করতে পুলিশের অভিযান চলছে বলে তিনি জানান। জানা যায়, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়