নিজস্ব প্রতিবেদক :
কানাইঘাটে সিমন বালা দাস নামে এক মহিলার লাশ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে আমরি নামক খাল থেকে উদ্ধার করেছে কানাইঘাট থানা পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, কানাইঘাট লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের দক্ষিন লক্ষীপ্রসাদ গ্রামের নিপু রাম দাসের স্ত্রীর সিমন বালা দাস (৪৫) গত বুধবার বিকেলের দিকে প্রতিদিনের মতো রাস্তার মাটির কাজ শেষ করে বাড়ী না ফিরলে তার খোঁজ খবর শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা।
একপর্যায়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সিমন বালা দাসের পুত্র দিপক রাম দাস স্থানীয় আমরি খালের মধুখাল নামক স্থানে তার মায়ের মাটির কাজের পোষাক, জুতা, ছাতা পড়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে তার ছেলে দিপক আত্মীয়-স্বজনকে জানান।
স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজির পর সিমন বালা দাসের কোন সন্ধান না পেয়ে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানান তারা। রাতেই থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম পিপিএম এর নির্দেশে ঘটনাস্থল সহ আশপাশ এলাকায় অনেক খোঁজ খবর নিয়ে সিমন বালা দাসের সন্ধান পায়নি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে কানাইঘাট সার্কেলের এএসপি আব্দুল করিম ও থানার ওসি (তদন্ত) জাহিদুল হক যেখানে সিমন বালার কাজের পোষাক সহ অন্যান্য আলামত পেয়েছেন সেখানে গিয়ে পুলিশ আমরি খালে ব্যাপক তল্লাশী চালিয়ে দুপুর ১২টার দিকে সিমন বালা দাসের লাশ ডুবন্ত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
পরে তার লাশ থানায় নিয়ে রাখা হয় সিলেট মর্গে প্রেরনের জন্য।
তবে সিমন বালা দাস খালে পড়ে গিয়ে পানিতে ডুবে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে কি না এবং তাকে হত্যা করা হয়েছে কি না এ নিয়ে তদন্তে পুলিশ।
থানার ওসি তাজুল ইসলাম পিপিএম জানিয়েছেন, সিমন বালা দাসের লাশ খাল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার পরনের কাপড়-চোপড় স্বাভাবিক ছিল। তার মৃত্যুর বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখছি। তাকে যদি কেউ হত্যা করে থাকেন তদন্তে প্রমানিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে এবং তার লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিওমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হবে।
জানা যায়, নিহত সিমন বালা দাসের পুত্রবধু উপজেলা এলজিডি অফিসের একজন মাটি কাজের নারী কর্মী ছিলেন। পুত্রবধুর পরিবর্তে সিমন বালা দাস অন্যান্য নারী কর্মীদের সাথে স্থানীয় লক্ষী প্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের রাস্তা-ঘাটের মাটির কাজ করতেন। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে সিমন বালার কয়েকজন আত্মীয়-স্বজনের অভিযোগ তাকে হত্যা করা হতে পারে।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়