কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক :
জামিন পেয়েছেন সিলেটে দা হাতে ভাইরাল হওয়া সেই যুবতীসহ ৬ নারী। সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের কাড়াবাল্লা গ্রামে বসতবাড়ি ভাঙচুরের মামলায় শনিবার (১০ জুলাই) তারা গ্রেফতার হন।
জামিনপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- ছালেহা বেগম, তার মেয়ে নাজমিন বেগম কুলছুমা, সুমি বেগম, সুহাদা বেগম, রহিমা বেগম ও ছেলে নাসির উদ্দিন।
রোববার (১১ জুলাই) তাদের আদালতে প্রেরণ করলে সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (কানাইঘাট) আলমগীর হোসেন তাদের জামিন প্রদান করেন। রোববার দুপুরে তাদের আদালতে নিয়ে আসা হয়।
গ্রেফতারকৃত এক নারীর সঙ্গে দুগ্ধপোষ্য শিশু থাকায় এবং দুজন আসামি নাবালিকা হওয়ায় তাদের জামিন প্রদান করা হয় বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
বিষয়টি সিলেটভিউ-কে জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী সিদ্দিকুর রহমান।
তিনি বলেন, রোববার দুপুরে ওই ৬ নারীকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। পরে বিকেল ৫টায় সিলেট জেলা দায়রা জজ আদালতে করোনাকালীন বিশেষ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গ্রেফতারকৃত এক নারীর সঙ্গে দুগ্ধপোষ্য শিশু থাকায় এবং দুজন আসামি নাবালিকা হওয়ায় শুনানি শেষে আসামিদের জামিন প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, কানাইঘাটের কাড়াবাল্লা গ্রামে গত শুক্রবার বিকেলে মহিলারা হামলা করে ভেঙে ফেলেন প্রতিপক্ষের ঘর। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই হামলা ও ভাঙচুরের ভিডিও দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় শনিবার (১০ জুলাই) সকালে কানাইঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন বসতঘরের মালিক মইন উদ্দিন লথু। পরে শনিবার বিকেলে আসামি ৬ নারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বসতবাড়ির জায়গা নিয়ে কাড়াবাল্লা গ্রামের মৃত আব্দুন নুরের স্ত্রী ছালেহা বেগমের (৪৫) সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তার ভাসুর মৃত তবারক আলীর ছেলে মইন উদ্দিন লথুর বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে উভয়পক্ষের কয়েকটি মামলা আদালতে বিচারাধীন। কয়েকদিন আগে ছালেহা বেগম সেই বিরোধপূর্ণ জায়গা থেকে বেশ কয়েকটি গাছ বিক্রি করেন। ক্রেতারা শ্রমিক নিয়ে গাছ কাটতে আসলে এতে বাধা প্রদান করেন ছালেহা বেগমের ভাশুর মইন উদ্দিন লথু। এসময় বিষয়টি মীমাংসা করার উদ্যোগ নেন স্থানীয় মুরুব্বিরা।
কিন্তু শুক্রবার (৯ জুলাই) বিকেল ৫ টার দিকে ছালেহা বেগম তার ছেলে-মেয়েসহ পরিবারের লোকজন নিয়ে হঠাৎ হাতে ধারালো দা ও লাঠিসোটা হাতে মইন উদ্দিন লথুর টিনশেড বসতঘরে হামলা-ভাঙচুর শুরু করেন। এ সময় প্রাণের ভয়ে ঘর থেকে বাসিন্দারা বের হয়ে যান। হামলা করে ছালেহা বেগম ও তার মেয়েরা ধারালো অস্ত্র ও বাঁশ দিয়ে মইন উদ্দিনের টিনশেডের ঘর এবং আসবাবপত্র গুড়িয়ে দেন। স্থানীয় অনেকে ঘটনাটি দেখলেও ছাহেলা বেগম ও তার মেয়েদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে পারেননি।
এদিকে, ভাঙচুরের পুরো দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করেন স্থানীয়রা। পরে সেটি ভাইরাল হয়ে পড়লে কানাইঘাট ও সিলেটজুড়ে তোলাপাড় সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘরের মালিক মইন উদ্দিন লথু বাদি হয়ে শনিবার সকালে কানাইঘাট থানায় ছালেহা বেগমসহ তার পরিবারের লোকজনদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১১।
সুত্র : সিলেটভিউ২৪ডটকম
নাবালিকার হাতে দা। চমৎকার। তাইলে তো কাউকে খুন করার ইচ্ছে হলে নাবালিকা একজিনের হাতে দা ধরিয়ে দিয়ে তাকে দিয়ে খুন করালে সে বেঁচে যাবে নাকি?বেপারটা তো এরকম ই লাগছে।সালার দুনিয়া আর আইন।
ReplyDelete