নিজস্ব প্রতিবেদক :
কানাইঘাট সাতঁবাক ইউনিয়নের লালারচক গ্রামের যাতায়াতের রাস্তায় বাঁশ গেড়ে যানবাহন সহ জনসাধারনের যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে শনিবার বিকেলে লালারচক গ্রামে গিয়ে দেখা যায় লালারচক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অদূরে রাস্তার পাশের বসত বাড়ীর তফজ্জুল আলী ও তার ছেলেরা তাদের বাড়ীর পাশে এলাকার জনসাধারনের যাতায়াতের সড়কে বিভিন্ন জায়গায় বাঁশ গেড়ে ছোট ছোট যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে। এ সময় স্থানীয়রা জানান গত কয়েকদিন থেকে তফজ্জুল আলীর ছেলে মনজুর আলম সহ তার ভাইয়েরা মাটির কাঁদাযুক্ত রাস্তার তাদের বাড়ীর পাশের শুকনো দু’পাশে বাঁশ ও সুপারীর কোচা গেড়ে মোটর সাইকেল সহ ছোট ছোট যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে। স্থানীয়রা এসব বাঁশের খুটি তুলে ফেলার জন্য বার বার তাদের প্রতি অনুরোধ করলেও এক্ষেত্রে তারা কোন ধরনের কর্নপাত করছে না।
স্থানীয়রা বিষয়টি সাতবাঁক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নানকে অবহিত করার পরও কোন সুরাহা পাচ্ছেন না। যার কারনে এ নিয়ে স্থানীয়দের সাথে মনজুর আলমের পরিবারের মধ্যে যে কোন সময় অনাকাংখিত ঘটনা ঘটতে পারে। বাড়ীর পাশে রাস্তার উপর বাঁেশ ও সুপারীর কোচা কেন গাড়ছেন এ ব্যাপারে মনজুর আলমের সাথে কথা হলে সে বলে আমার বাড়ীর পাশে কোচা গাড়ছি এতে বাধা কে আছে। লালারচক গ্রামের লোকজন জানিয়েছেন উক্ত রাস্তা দিয়ে প্রায় ৩০ বছর থেকে মোটর সাইকেল ও ছোট ছোট যানবাহন নিয়ে এলাকার লোকজন যাতায়াত করে আসছেন। রাস্তার পাশে লালারচক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কমিউনিটি ক্লিনিক অবস্থিত। সম্প্রতি গ্রামের তফজ্জুল আলী রাস্তার পাশে নতুন বাড়ী করে এসে এ বর্ষা মৌসুমে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় বাঁশের ও সুপারী গাছের কোচা গেড়ে জনসাধারনের যাতায়াতে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা করে আসছেন।
এব্যাপারে দ্রুত স্থানীয় প্রশাসনকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন তারা। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ২/১ দিনের মধ্যে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি সুরাহা করব। কেউ রাস্তার উপর জনসাধারনের চলাফেরায় বিঘ্ন ঘটালে ব্যবস্থা নিব।
খবর বিভাগঃ
প্রতিদিনের কানাইঘাট
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়