কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক :
কানাইঘাটে ৩সন্তানের এক জননীর ধর্ষণ মামলা নিয়ে এলাকায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ঝিঙ্গাবাড়ী ইউপির আগতালুক কান্দিগ্রামের মৃত সাজ্জাদুর রহমানের স্ত্রী ৩ সন্তানের জননী আমিনা বেগম (৩২) তাকে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতের বেলা গৃহে প্রবেশ করে একই গ্রামের মৃত সাহাব উদ্দিনের ছেলে সিলেট সরকারী কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র জুবায়ের আহমদ (২৫) ধর্ষণ করেছেন এমন অভিযোগ এনে কানাইঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ধর্ষণ মামলা নিয়ে এলাকায় জনমনে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, আমিনা বেগমের দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলাটি উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও ষড়যন্ত্র মূলক।
ঝিংগাবাড়ি ইউপির আগতালুক গ্রামের মৃত সাজ্জাদুর রহমানের স্ত্রী আমিনা বেগম প্রায় ৩বছর পূর্বে স্বামী হারিয়ে ৩সন্তান কে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। ধর্ষনের বিষয়ে জানতে চাইলে একই বাড়ীর সাইদুর রহমানের স্ত্রী রামিমা বেগম, আতিকুর রহমানের স্ত্রী আফতারুন নেছা, মামলার ৫নং সাক্ষী আতিকুর রহমান, এলাকার উমর আলীর পুত্র সাইদুর রহমান, আহমদ আলীর পুত্র লোকমান উদ্দিন, সামছুল হকের পুত্র আজমল উদ্দিন সহ অনেকে জানিয়েছেন, আমরা একই বাড়ীর পাশাপাশি ঘরের বাসিন্দা হয়েও আমরা কোন শোর চিৎকার বা ধর্ষনের কোন বিষয় জানতে পারিনি। পরদিন বিকালে লোক মুখে বাজারে শুনতে পেরেছি। তবে আমিনা বেগম রাতভর মোবাইল ফোনে কে বা কাহার সাথে কথা বলেন। হয়তো পরকিয়া জনিত কোন সম্পর্ক থাকতে পারে। একজন মানুষ জোর করে বসত ঘরে ঢুকে ধর্ষন করলে অবশ্যই আমরা সাথে সাথে টের পেতাম। পরদিন সকাল ১১টার দিকে আমিনা বেগমের ভাইয়েরা এসে তাকে নিয়ে যান। কেন নিয়ে যান সে বিষয়ে আমরা জানতে পারিনি। ঘটনার আগের দিন ১৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার আমিনা বেগম তার পিত্রালয় হতে ২সন্তানকে রেখে ১সন্তানকে নিয়ে স্বামীর বসত বাড়ীতে আসেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাত ১টার সময় ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা নিউজ ও মামলা সূত্রে জানতে পেরেছি। একই বাড়ির বাসিন্দা হিসাবে এমন নেক্কারজনক ঘটনা ঘটলে সরাসরি আমিনা বেগম আমাদের কে জানাতে পারতেন।তা না করে মামলায় তার ৪ভাইকে মামলার সাক্ষী করেছেন যা উদ্দেশ্য মূলক মনে হচ্ছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় আমিনা বেগমের সাথে জুবায়ের আহমদের পরকিয়া সম্পর্ক রয়েছে। এরই সুবাদে জুবায়ের আহমদ আমেনা বেগমের কাছ থেকে কিছু টাকা ও স্বর্ণ নিয়েছেন। আমেনা বেগম তা ফেরত চাইলে জুবের আহমদ ফেরত দিতে অপারগতা দেখালে আমেনা বেগম এমন মিথ্যা ধর্ষন মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কানাইঘাট থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন জানান, কানাইঘাট থানায় আমিনা বেগম বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং উল্লেখিত আসামিকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়