কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক :: সিলেটের কানাইঘাটে ধর্ষনের শিকার তিন সন্তানের জননী, বিধবা নারী আতঙ্কে স্বামীর ভিটে ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন বাবার বাড়িতে। ঘটনার ১৩ দিন অতিবাহিত হলেও বোরকা পরে ঘরে ঢুকে বিধবা নারীকে ধর্ষনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা জুবায়ের আহমদ শিপু ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। তিনি সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও কানাইঘাট উপজেলার আগতালুক গ্রামের মৃত শাহাব উদ্দিনের ছেলে।
ধর্ষিতাও একই গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়ি একই উপজেলার গণিকান্দিতে আশ্রয় নিয়েছেন। পুলিশ বলছে, মামলার পর থেকে তারা অভিযুক্ত শিপুকে গ্রেফতার করতে তৎপর রয়েছে।
ধর্ষিতার পরিবারের অভিযোগ ও মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জানুয়ারি রাতে দরজা ভেঙ্গে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে জুবায়ের আহমদ শিপু। বোরকা পরে ঘরে ঢুকে সে প্রাণে মারার ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষন করে। ঘটনার দিন রাতে ধর্ষিতার ১১ ও ৮ বছর বয়সী দুই সন্তান তাদের নানার বাড়িতে ছিল। আর ভিকটিমের কাছে ছিল তার চার বছর বয়সী এক ছেলে।
ধর্ষনের পর শিপু ওই নারীর মোবাইল ফোন নাম্বার নিয়ে যায় এবং ঘটনা কাউকে না বলার জন্য হুমকি দিয়ে যায়। পরদিন শিপু ওই নারীকে ফোন দিয়ে রাতে সে আবার আসবে বলে জানায়। বাধা দিলে তাকে প্রাণে মারার হুমকি দেয়। ফোন পাওয়ার পর ভয়ে ভিকটিম স্বামীর ভিটা ছেড়ে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন।
এ ঘটনায় থানায় মামলা হলেও পুলিশ এখনো অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা জুবায়ের আহমদ শিপুকে গ্রেফতার করতে পারেনি। মামলার পর থেকে সে গা ঢাকা দিয়েছে। তবে তাকে গ্রেফতারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন কানাইঘাট থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম।
এ প্রসঙ্গে সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুদীপ জ্যোতি জানান, জুবায়ের আহমদ শিপুর বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলা হওয়ার বিষয়টি তিনি জেনেছেন। সাংগঠনিকভাবে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। এরকম ঘটনার সাথে জুবায়ের আহমদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খবর বিভাগঃ
প্রতিদিনের কানাইঘাট
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়