নিজস্ব প্রতিবেদক :
এ উপলক্ষ্যে এক অবহিতকরণ সভা মঙ্গলবার সকাল ১১টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবসিক মেডিকেল অফিসার ডা. কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও হাসপাতালের পরিসংখ্যানবিধ সুবোধ চন্দ দাসের পরিচালনায় অবহিতকরণ সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সিডিসি আমজাদ হোসেন কুকুর ও শিয়াল দ্বারা আক্রান্তের ভয়াভহতা তোলে ধরে বলেন যারা জলাতঙ্কে আক্রান্ত হন তাদের মৃত্যুর হার শতভাগ।
তিনি বলেন- প্রতিবছর ২ হাজার লোক জলাতঙ্ক ভাইরাসে মারা যান। এ থেকে আমাদের সবাইকে সচেতন ও সাবধান হতে হবে। কেউ কুকুর ও শিয়াল দ্বারা আক্রান্ত হলে সাথে সাথে ক্ষতস্থানে কাপড় ধোয়ার সাবান দিয়ে ভাল করে পানি দ্বারা অন্তত ২০ মিনিট ধৌত করতে হবে তাহলে জিবানু নষ্ট হবে এবং সাথে সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে চিকিৎসা নিতে হবে।
সরকার ২০২৩ সালের মধ্যে দেশ থেকে জলাতঙ্ক নির্মূলের লক্ষ্যে সারাদেশে কুকুরের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন- আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে কানাইঘাটে বেওয়ারিশ ও পালিত কুকুরের টিকা কার্যক্রম শুরু হবে। পৌরসভায় ৫টি টিম এবং ৯টি ইউনিয়নের ২৩টি টিম কুকুরের টিকা প্রয়োগ কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে। এ ক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতার পাশাপাশি এ কার্যক্রমের সাথে জড়িতদের নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়; যাতে করে কানাইঘাটে ব্যাপক হারে কুকুরের টিকা কার্যক্রম সফল হয়।
অবহিতকরণ সভায় জলাতঙ্ক কার্যক্রমের উপর বিভিন্ন মতামত তোলে ধরে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. ইকবাল হোসেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডা. ফাতেমা মনসুর কনা, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইয়াজুল আমিন, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, জলাতঙ্ক কার্যক্রমের মাঠ কর্মকর্তা আবু হানিফসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত সিএইচপিগণ।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়