Thursday, February 25

কানাইঘাটের হাওরে জমি খরিদ করে হয়রানীর স্বীকার মালিকগন


নিজস্ব প্রতিবেদক  ::
 কানাইঘাট উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের আলংগরা পাহাড় মৌজার হাওর এলাকায় অবস্থিত পতিত জমি সাফকাবালা দলিল মূলে খরিদ করে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন জমির মালিকগন এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাদের নানা ভাবে হয়রানী করা হচ্ছে। জানা যায় জৈন্তাপুর উপজেলার ঠাকুরেরমাটি গ্রামের মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে নাসির উদ্দিন গংরা কানাইঘাট রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত আলংগরা মৌজায় অবস্থিত সাফকাবালা দলিল মূলে জেএল নং-৮২, খতিয়ান নং-১৭৯ দাগ নং-৬৮ পরিমান-৪৪৪ শতক এবং খতিয়ান নং-২৬৫ দাগ নং-৬০, পরিমান- ১৫০ শতক, এবং খতিয়ান নং-১১২ দাগ নং-৫৬ পরিমান-১৫৯ শতক ও নামজারী খতিয়ান নং-২৯৯ দাগ নং-৬০, পরিমান-১১২ শতক জমি খরিদ করে দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছেন।

সম্প্রতি নাসির উদ্দিন গংরা উল্লেখিত দাগের পতিত ভূমি কৃষি কাজের উপযোগি করে সেখানে বোরো ধান চাষ করার জন্য মাটি খনন ও মাটি ভরাটের কাজ শুরু করেন। নাসির উদ্দিন গংদের অভিযোগ তাদের হয়রানী করার জন্য কানাইঘাট উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউপির লালারচক পশ্চিম গ্রামের দীন পাঠনীর ছেলে যতিন্দ্র দাস যার কোন সম্পত্তি আলংগরা মৌজায় নেই এবং তার সহযোগি জৈন্তাপুর উপজেলার কহাইগড় ১ম খন্ড গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে জমিজমার জবর দখলকারী সাহাব উদ্দিন ও কামাল উদ্দিন গংরা যতিন্দ্র দাসকে ব্যবহার করে উপজেলা ভূমি অফিস ও থানায় তাদের বিরুদ্ধে সাজানো অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করে যাচ্ছে। এতে করে ভূমির মালিক নাসির গংরা বর্তমানে তাদের সাফকাবালা মূলে খরিদকৃত ও দখলীয় ভূমিতে কৃষি কাজে বাধা সম্মুখীন হচ্ছেন। নাসির উদ্দিন জানান যতিন্দ্র দাস একজন প্রতারক প্রকৃতির লোক। সে আলংগড়া পাহাড় মৌজায় অবস্থিত সরকারি খাস খতিয়ানের জায়গা তার দাবী করে বিভিন্ন সময়ে একাধিক লোকজনের কাছ থেকে জমি ননজুডিসিয়াল কার্টিজ পেপারে চুক্তিনামার মাধ্যমে বিক্রির নামে টাকা আদায় করে প্রতারনা ও নামে বেনামে সরকারি সম্পত্তি তার ব্যক্তি মালিকানা দাবী করে মামলা দিয়ে লোকজনদের হয়রানী করে থাকে। নাসির উদ্দিন আর বলেন যতিন্দ্র দাস অযথা তাদের হয়রানী করছে।

উপজেলা ভূমি ও থানায় বিভিন্ন দাগ উল্লেখ করে যে অভিযোগ দিয়েছে সেখানে কোন ধরনের কাজ করছেন না তিনি। কিন্তু যতিন্দ্র দাস তার দায়েরকৃত অভিযোগে উদ্দেশ্য প্রনোদীত ভাবে আমাদেরকে হয়রানী করার জন্য বিবাদী করে থানা পুলিশ ও ভূমি অফিসকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তার দায়েরকৃত অভিযোগে যে সব ভূমির সাবেক দাগ উল্লেখ করেছে তা বর্তমান বিএস রেকর্ডে সরকারি খাস খতিয়ানে অবস্থিত। যতিন্দ্র দাসের এসব মিথ্যা অভিযোগ দায়েরের পর ভূমি অফিসের কর্মকর্তা ও থানা পুলিশ সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলে নাসির উদ্দিন গংরা তাদের সাফকাবাল দলিল মূলে খরিদকৃত ভূমিতে কৃষি কাজ করার জন্য মাটির বাধ নির্মান করছেন সংক্রান্ত কাগজপত্র প্রশাসনের কাছে দাখিল করেন।

তিনি বলেন, হাওর এলাকায় অবস্থিত পতিত ছনউরা ভূমি খরিদ করে সেখানে বোরো চাষের উপযোগি করার জন্য যখন কাজ করছেন তখন অযথা হয়রানী করে যাচ্ছে যতিন্দ্র দাস ও তার সহযোগিরা। এব্যাপারে উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তা ও থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ তাজুল ইসলাম পিপিএম এর সহযোগিতা কামনা করেছেন নাসির উদ্দিন গংরা এবং যতিন্দ্র দাসের দায়েরকৃত অভিযোগ সঠিক তদন্ত করে বিহীত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান তিনি।


শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়