কানাইঘাট দিঘীরপার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিনকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।
জানা যায় গত বুধবার বিকেল ৫টার দিকে বার্ধক্য জনিত কারনে বীরমুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন তার দ্বিতীয় বাড়ী লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির বড়খেওড় গ্রামের নিজ বাড়ীতে মৃত্যুবরন করেন। ইন্নালিল্লাহি ..... রাজিউন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তিনি ২ স্ত্রী, ৬ ছেলে ও ৭ মেয়ে সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় স্থানীয় সুরতুন নেছা মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বীরমুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয় এতে এলাকার সর্বস্তরের লোকজন শরীক হন।
জানাজা পূর্বে রাষ্ট্রীয় ভাবে তাকে সম্মান প্রদর্শন করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি এর নেতৃত্বে থানা পুলিশ। পরে তার লাশ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বড়খেওড় জামে মসজিদ গোরস্থানে সমাহিত করা হয়।
জানাজা পূর্ব গিয়াস উদ্দিনের স্মৃতিচারন করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আব্দুল মুমিন চৌধুরী, লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপি চেয়ারম্যান ডাঃ ফয়েজ আহমদ সহ তার কয়েকজন সহকর্মী বীরমুক্তিযোদ্ধা।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন বীরমুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন অত্যন্ত সুনামের সহিত নির্বাচিত হয়ে দিঘীরপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে ছিলেন। এলাকায় একজন সমাজসেবী ব্যক্তি হিসাবে সর্বমহলে তিনি অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি ছিলেন।
এক সময় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ী হচ্ছে দর্পনগর পূর্ব গ্রামে পরে তিনি বড়খেওড় গ্রামে পৃথক বাড়ী করে সেখানে বসবাস করে আসছিলেন। এ দিকে বীরমুক্তিযোদ্ধা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিনের মৃত্যুতে শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা এবং মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোক প্রকাশ করেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, দিঘীরপার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেন কাজল, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সমছু চৌধুরী, নাজমুল হক, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সভাপতি রোটারিয়ান শাহজাহান সেলিম বুলবুল ও সাধারন সম্পাদক নিজাম উদ্দিন সহ নেতৃবৃন্দ।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়