নিজস্ব প্রতিবেদক:
কানাইঘাট সদর ইউনিয়নে ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে এলজিএসপি ও এডিপি কয়েকটি প্রজেক্টের কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় এলজিএসপির উপ-পরিচালকসহ কয়েকজন কর্মকর্তা সরেজমিনে প্রজেক্টের কাজের এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
জানা গেছে- সম্প্রতি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মামুন রশিদ কর্তৃক এলজিএসপি ও এডিপি অর্থায়নে কয়েকটি রাস্তা, কালভার্ট, পাইপ রিং প্রজেক্টের কাজে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ এনে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত দরখাস্ত করেন ইউনিয়নের ভাটিদিহি গ্রামের মৃত তফজ্জুল আলীর ছেলে নুর উদ্দিন, ছোটদেশ গ্রামের তাহির আলীর ছেলে জালাল উদ্দিনসহ আরো কয়েকজন। অনিয়ম দুর্নীতির প্রমাণসহ কাজ না করে ২/১টি প্রজেক্টের কাজের কোন অস্তিত্ব পাননি বলে অভিযোগকারীরা তুলে ধরেন।
এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৮ অক্টোবর এলজিএসপির উপ-পরিচালক সহ স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর সিলেটের আরো ২জন কর্মকর্তা সরেজমিনে কানাইঘাট সদর ইউনিয়নে আসেন। এসময় কর্মকর্তারা এলজিএসপি ও এডিপির অর্থায়নে ৬টি প্রকল্প কাজের এলাকা পরিদর্শন করেন।
চেয়ারম্যান মামুন রশিদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগকারীরা জানান, এলজিএসপি ও এডিপির কয়েকটি প্রজেক্টের নিম্নমানের কাজ করে এবং কোন কোন প্রজেক্টের কাজ না করে প্রজেক্টের বিল তুলেছেন তিনি। যার কারণে তারা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে প্রজেক্টের কাজের এলাকাগুলো পরিদর্শন করে বিহীত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এসব অভিযোগ দায়ের করেন।
তবে ইউপি চেয়ারম্যান মামুন রশিদ জানান, এলজিএসপি ও এডিপির কোন প্রজেক্টের টাকা তছরুফ করেননি সে ধরনের প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। তার বিরুদ্ধে কয়েক মাস থেকে ষড়যন্ত্র চলছে। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার কারণে অনেক প্রজেক্টের কাজ যথাসময়ে তিনি সম্পন্ন করতে পারেননি। এলজিএসপি’র কাজের সরকারি নিয়ম-কানুন রয়েছে। ডিডিএলজি’র কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় করোনাকালীন সময়ে ৩টি কালভার্ট সহ ১৪টি প্রজেক্ট সম্প্রতি সম্পন্ন করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার করা হচ্ছে। এলজিএসপির প্রজেক্টের সকল টাকা ব্যাংকে রক্ষিত রয়েছে। কিন্তু প্রজেক্টের কাজের এলাকা পরিদর্শনকালে কর্মকর্তাদের নানাভাবে ভুল বুঝানো হয়েছে।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়