Wednesday, July 22

নিলামে বিক্রি হয়নি লোভাছড়ায় জব্দ করা সেই পাথর

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:   
কানাইঘাটের লোভা নদী থেকে উত্তোলনকৃত প্রায় এক কোটি ঘনফুট পাথর মঙ্গলবার (২১ জুলাই) নিলামে বিক্রি হয়নি। উপযুক্ত মূল্য মিলেনি তাই নিলাম হয়নি- এমনটাই জানালেন সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা।

গত ১৫ ও ১৬ জুলাই পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযান চালায় কানাইঘাটের লোভাছড়া পাথর কোয়ারি ও আশপাশ এলাকায়। এসময় নদীর তীরে মজুদ করে রাখা প্রায় এক কোটি ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়। অভিযানকালে মজুদকৃত পাথরের কোনো মালিক খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানায় পরিবেশ অধিদপ্তর।

জব্দকৃত সেই পাথর নিলামে বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করে গত রবিবার পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। দরপত্র জমার শেষ এবং নিলামের তারিখ নির্ধারণ করা হয় ২১ জুলাই (মঙ্গলবার )। কিন্তু জব্দকৃত পাথরের উপযুক্ত মূল্য না পাওয়ায় মঙ্গলবার তা বিক্রি হয়নি।

বিষয়টি মঙ্গলবার রাতে সিলেটভিউ-কে নিশ্চিত করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের পরিচালক মো. এমরান হোসেন।

তিনি জানান, উপযুক্ত মূল্য না পাওয়াতে এসব পাথর মঙ্গলবার নিলাম হয়নি। দরপত্র আহ্বান করে বুধবার আবারও  পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে। 

জব্দকৃত পাথরের মূল্য প্রায় ৭০ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। জব্দকৃত পাথরগুলো ইজারাকালীন সময়ে নদী থেকে বৈধভাবে উত্তোলন করে পরিবহনের জন্য মজুদ করে রাখা হয়েছিল বলে দাবি করছেন স্থানীয় মুলাগুল ও লোভাছড়া পাথর ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা।

অপরদিকে, কানাইঘাটের মুলাগুল পাথর ব্যবসায়ী সমিতি ও লোভাছড়া আদর্শ পাথর ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ গত রোববার যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলন করে জব্দকৃত পাথর নিলামে না তুলার দাবি জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পরিবেশ অধিদপ্তর যে পাথর জব্দ করেছে সেগুলোর মালিক রয়েছেন। গত শুষ্ক মৌসুমে সরকারকে রাজস্ব দিয়েই স্থানীয় লোকজন ও ব্যবসায়ীরা এই পাথর উত্তোলন করে মজুদ করেছেন। সড়ক যোগাযোগ ভালো না থাকায় বর্ষা মৌসুমে মজুদকৃত পাথরগুলো নদীপথে পরিবহনের জন্য মজুদ করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর অবৈধ মজুদ দাবি করে পাথরগুলো জব্দ করে নিলামে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। জব্দকৃত পাথর নিলামে বিক্রি করে দিলে অনেক ব্যবসায়ী পথে বসতে হবে বলে দাবি করেন দুই সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ১৩ এপ্রিল কানাইঘাটের লোভাছড়া পাথর কোয়ারির ইজারার মেয়াদ শেষ হয়। এরপর উচ্চ আদালতের ধারস্থ হলে ইজারার মেয়াদ আরও ১৫ দিন বাড়ানো হয়। কিন্তু এরপরও ইজারাদার ও স্থানীয় প্রভাবশালীরা পাথর উত্তোলন অব্যাহত রাখেন। একপর্যায়ে স্থানীয় প্রশাসন ও আদালত পাথর উত্তোলন ও পরিবহনে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু বন্ধ হয়নি পাথর উত্তোলন, মজুদ ও পরিবহন।

পরবর্তীতে গত শনিবার ও রোববার লোভাছড়ায় পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন অভিযান চালায়। এসময় অর্ধশতাধিক অবৈধ স্টোন ক্রাসার মেশিন, ৫৫টি শ্যালো ইঞ্জিন ও ৬৭টি বাল্কহেড নৌকা বিকল করা হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের পরিচালক মো. এমরান হোসেন জানান, লোভা নদী থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করে মজুদ করে রাখা হয়েছিল।


সৌজন্য :সিলেটভিউ২৪ডটকম

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়