কানাইঘাট উপজেলার লোভাছড়ায় জব্দ করা ‘সোনার স্তুপ’ পুনরায় নিলাম ডাক হবে। জব্দকৃত সোনারূপী সেই ১ কোটি ঘনফুট পাথরের বাজারদর অনুযায়ী মূল্য পেতে প্রকাশ্য পদ্ধতিতে আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) বিকেলে পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ে এ নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।
গত মঙ্গলবার (২১ জুলাই) বিকেলে একবার নিলাম ডাকা হয়েছিল। এতে পাঁচটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। তখন সর্বোচ্চ দর উঠেছিল ৩০ কোটি টাকা।
৪৮ টাকা ঘনফুট হিসেবে বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী ১ কোটি ঘনফুট পাথরের মূল্য ৫০ কোটি টাকার বেশি। এ হিসেবে প্রত্যাশিত দর না ওঠায় দ্বিতীয় দফা নিলাম ডাকের আয়োজন করা হয়েছে। এ নিয়ে আজ বুধবার পুনরায় নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রকাশ্য পদ্ধতিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ে নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। নিলামে অংশ নিতে সিডিউল সংগ্রহ করা যাবে বেলা ১টা পর্যন্ত। নিলাম দাখিলের শেষ সময় বেলা ২টা। বেলা ৩টায় সিডিউল খুলে বিকেল ৪টায় নিলাম ডাক অনুষ্ঠিত হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন এ বিষয়ে বলেন, ‘পাথরের বর্তমান বাজারদরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিক্রি করতে দ্বিতীয় দফা নিলাম ডাক দেওয়া হয়েছে। নিলাম পদ্ধতি প্রথম দফার মতো প্রকাশ্য হবে। তবে স্বচ্ছতার জন্য দ্বিতীয় দফা নিলাম ডাকে কিছু শর্ত রাখা হয়েছে। যেমন- প্রথম দফায় যেসব প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিল, প্রথম নিলাম ডাকে অংশ নেওয়া টাকার জামানত বাদ দিয়ে নতুন করে টাকা জামানত দিয়ে নিলামে অংশ নিতে হবে। প্রথম দফা নিলাম ডাকের চেয়ে বেশি মূল্য দিয়ে দ্বিতীয় দফা নিলামে অংশ নিতে হবে।’
উল্লেখ্য, গত ১৫ ও ১৬ জুলাই পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযান চালায় কানাইঘাটের লোভাছড়া পাথর কোয়ারি ও আশপাশ এলাকায়। এসময় নদীর তীরে মজুদ করে রাখা প্রায় এক কোটি ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়। অভিযানকালে মজুদকৃত পাথরের কোনো মালিক খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানায় পরিবেশ অধিদপ্তর।
জব্দকৃত সেই পাথর নিলামে বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করে গত রোববার পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। দরপত্র জমার শেষ এবং নিলামের তারিখ নির্ধারণ করা হয় ২১ জুলাই (মঙ্গলবার )। কিন্তু জব্দকৃত পাথরের উপযুক্ত মূল্য না পাওয়ায় মঙ্গলবার তা বিক্রি হয়নি।
এদিকে, কানাইঘাটের মুলাগুল পাথর ব্যবসায়ী সমিতি ও লোভাছড়া আদর্শ পাথর ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ গত রোববার যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলন করে জব্দকৃত পাথর নিলামে না তুলার দাবি জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পরিবেশ অধিদপ্তর যে পাথর জব্দ করেছে সেগুলোর মালিক রয়েছেন। গত শুষ্ক মৌসুমে সরকারকে রাজস্ব দিয়েই স্থানীয় লোকজন ও ব্যবসায়ীরা এই পাথর উত্তোলন করে মজুদ করেছেন। সড়ক যোগাযোগ ভালো না থাকায় বর্ষা মৌসুমে মজুদকৃত পাথরগুলো নদীপথে পরিবহনের জন্য মজুদ করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর অবৈধ মজুদ দাবি করে পাথরগুলো জব্দ করে নিলামে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। জব্দকৃত পাথর নিলামে বিক্রি করে দিলে অনেক ব্যবসায়ী পথে বসতে হবে বলে দাবি করেন দুই সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সৌজন্যে :সিলেটভিউ২৪ডটকম
খবর বিভাগঃ
প্রতিদিনের কানাইঘাট
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়