নিজস্ব প্রতিবেদক:
কানাইঘাটের লোভাছড়া পাথর মহালের ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর প্রশাসনের বাঁধা নিষেধ থাকার পরও সেখান থেকে ইঞ্জিন চালিত ৫টি বলগেটে পাথর বোঝাই করে রাতের আঁধারে কানাইঘাট খেয়াঘাট বাসস্ট্যান্ড সুরমা নদীর ঘাটে আনলোড করেছেন।
তবে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে পাথর বহন করার সময় প্রতিবাদ করেছেন স্থানীয় যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এম. আখতার হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে প্রশাসনের বাঁধা নিষেধ উপেক্ষা করে লোভাছড়া পাথর কোয়ারী থেকে ৫টি পাথর বোঝাই ইঞ্জিন চালিত বলগেট সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নদীপথে কানাইঘাটের দিকে আসছে জেনে তিনি সহ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক আজমল হোসেন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এস.এম মাহবুবুল আম্বিয়া, যুবলীগ নেতা ফরিদ আহমদ, আলমগীর, জাকির হোসেন, ইয়াহিয়া, জাকারিয়া, দেলোয়ার, সাবেক ছাত্রনেতা পর্তুগাল প্রবাসী কাওছার আহমদ, জেলা ছাত্রলীগের নেতা আখতারুজ্জামান হিমেল, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি এম. নোমান আহমদ রোমান, কানাইঘাট কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রহমান সহ দলের বেশ কিছু নেতাকর্মী কানাইঘাট পূর্ব বাজারে খেয়াঘাটে অবস্থান করেন। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ৩টার দিকে পাথর বোঝাই ৫টি ইঞ্জিনচালিত বলগেট খেয়াঘাট বাসস্ট্যান্ড সুরমা নদীর ঘাটে ভিড়লে সেখানে তারা নৌকা নিয়ে যান।
প্রশাসনের বাঁধা নিষেধের পর কিভাবে তারা পাথর এখানে পরিবহন করে আনলো জানতে চাইলে বলগেটের চালক ও শ্রমিকরা জানান, তারা কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।
এ সময় স্বেচ্ছাসেবকলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বলগেট চালক ও শ্রমিকদের কোথাও রয়্যালিটি দিয়েছেন কি না জানতে চাইলে তারা বলেন, তারা রয়্যালিটি না দিয়ে আলমাছ উদ্দিনের নিজ দায়িত্বে পাথর নিয়ে খেয়াঘাটে এসেছেন এবং অপর ৪টি বলগেট কার তত্ত্বাবধানে এসেছে শ্রমিকরা বলতে পারেনি।
এ ঘটনাটি রাতেই স্বেচ্ছাসেবকলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মোমিন চৌধুরীকে জানিয়েছেন।
এসময় তারা কোয়ারির লীজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রশাসনের নিষেধ অমান্য করে যারা সেখান থেকে বলগেট থেকে পাথর নিয়ে এসেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবী জানান।
খবর বিভাগঃ
প্রতিদিনের কানাইঘাট
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়