নিজস্ব :
বৈশ্বিক মহামারী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কানাইঘাট উপজেলায় ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এ নিয়ে উৎকন্ঠা, উদ্বেগ ও জনমনে দেখা দিয়েছে আতংক।
বিশেষ করে কানাইঘাট পৌর এলাকায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় প্রশাসনিক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে ডাক্তার সহ সকল মহলে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ।
কানাইঘাট পৌর শহরের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও তার আশপাশ রায়গড়, ডালাইচর এলাকায় ইতিমধ্যে ৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
তাদের মধ্যে রয়েছেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী মেডিকেল অফির ডাঃ উৎপলেন্দু বিশ্বাস, উপজেলা পরিষদের সিএ পৌরসভার রায়গড় গ্রামের বিপ্লব কান্তি দাস অপু, হাসপাতালের অফিস সহকারী জামাল উদ্দিন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন মা-ডায়গনস্টিক সেন্টারের ডিএমএফ পৌরসভার রায়গড় গ্রামের দ্বীপ চৌধুরী, তার ভাই একই ডায়গনস্টিক সেন্টারে কর্মরত সাগর চৌধুরী, ডায়গনস্টিক সেন্টারের পরিচালক হারুন রশিদ ও দি আজাদ ডায়গনস্টিক সেন্টারের ল্যাব টেকনেশিয়ান পাবনার বাসিন্দা ডালাইচরে বসবাসরত সাখাওয়াত হোসেন, বীরদল পুরানফৌদ গ্রামের হাসপাতাল গেইট সংলগ্ন রাহুল ফার্মেসীর মালিক অজিত দাস, রায়গড় গ্রামের পরিবার নিয়ে বসবাসরত চতুল ঈদগাহ বাজারের একটি ফার্মেসীর মালিক ডিএমএফ মোঃ কিবরিয়া।
তারা সবাই পৌরসভার ৭ ও ৮নং ওয়ার্ডের বসবাস করেন। করোনায় আক্রান্ত এ ৯ জনের মধ্যে ৮ জন গত ৩ দিনে আক্রান্ত হন।
তাদের মধ্যে ডাঃ উৎপলেন্দু বিশ^াস ও হাসপাতালের অফিস সহকারী জামাল উদ্দিনকে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
পৌরসভার অফিসপাড়া ও থানা এলাকায় করোনার আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মধ্যে একধরনের উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে।
বিশেষ করে যারা ডাক্তার উৎপলেন্দু বিশ্বাসের কাছে চিকিৎসা গ্রহণ করেছিলেন এবং হাসপাতালে অবাধ যাতায়াত ও হাসপাতালের পাশের অবস্থিত মা-মনি ও আজাদ ডায়গনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা সহ অন্যান্য পরীক্ষা করেছেন তারাও রয়েছেন উৎকন্ঠায়।
সর্বোচ্চ করোনায় কানাইঘাটে আক্রান্ত হন ঈদের দিন রাত ৮ জন। তারা হলেন, ফারইস্ট লাইফ ইন্সুরেন্স কানাইঘাট অফিসে কর্মরত সদর ইউপির নিজ চাউর দক্ষিণ গ্রামের আবুল কালাম, ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের তিনচটি নয়াগ্রামের নুরুল হকের পুত্র চট্টগ্রাম ফেরত গার্মেন্টস শ্রমিক জুবায়ের আহমদ, রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের খালপার গ্রামের সুনামগঞ্জ ফেরত ধানকাটা শ্রমিক আব্দুল খালিক।
গত তিনদিনে করোনায় আক্রান্ত অনেকের বয়স ২০-৩০ কোটায়। ঈদের দুইদিন আগে আক্রান্ত হন আরো ৭ জন। সব-মিলিয়ে এ পর্যন্ত উপজেলায় মোট আক্রান্ত ২১ জন হয়েছেন, তাদের মধ্যে ১ জন সুস্থ হয়েছেন।
হাসপাতালে এক ডাক্তার সহ কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় এবং হাসপাতালের আশপাশ এলাকায় করোনার প্রার্দুভাব দেখা দেয়ায় সচেতন মহল কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আশপাশ এলাকা লকডাউন করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবী জানিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বারিউল করিম খান বলেন, করোনার প্রার্দুভাব থেকে বাঁচতে হলে সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। প্রশাসন আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে মানুষকে সচেতন করার জন্য, কিন্তু করোনা একটি প্রাণঘাতি ও ছোয়াচে রোগ জানার পরও আমরা সচেতন হচ্ছি না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লকডাউন করা জেলা সিভিল সার্জনের একতিয়ার রয়েছে। তারা যদি মনে করেন হাসপাতাল লকডাউন দরকার তাহলে সেই আলোকে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কানাইঘাট নিউজ ডটকম/২৬ মে ২০২০
বিশেষ করে কানাইঘাট পৌর এলাকায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় প্রশাসনিক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে ডাক্তার সহ সকল মহলে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ।
কানাইঘাট পৌর শহরের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও তার আশপাশ রায়গড়, ডালাইচর এলাকায় ইতিমধ্যে ৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
তাদের মধ্যে রয়েছেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী মেডিকেল অফির ডাঃ উৎপলেন্দু বিশ্বাস, উপজেলা পরিষদের সিএ পৌরসভার রায়গড় গ্রামের বিপ্লব কান্তি দাস অপু, হাসপাতালের অফিস সহকারী জামাল উদ্দিন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন মা-ডায়গনস্টিক সেন্টারের ডিএমএফ পৌরসভার রায়গড় গ্রামের দ্বীপ চৌধুরী, তার ভাই একই ডায়গনস্টিক সেন্টারে কর্মরত সাগর চৌধুরী, ডায়গনস্টিক সেন্টারের পরিচালক হারুন রশিদ ও দি আজাদ ডায়গনস্টিক সেন্টারের ল্যাব টেকনেশিয়ান পাবনার বাসিন্দা ডালাইচরে বসবাসরত সাখাওয়াত হোসেন, বীরদল পুরানফৌদ গ্রামের হাসপাতাল গেইট সংলগ্ন রাহুল ফার্মেসীর মালিক অজিত দাস, রায়গড় গ্রামের পরিবার নিয়ে বসবাসরত চতুল ঈদগাহ বাজারের একটি ফার্মেসীর মালিক ডিএমএফ মোঃ কিবরিয়া।
তারা সবাই পৌরসভার ৭ ও ৮নং ওয়ার্ডের বসবাস করেন। করোনায় আক্রান্ত এ ৯ জনের মধ্যে ৮ জন গত ৩ দিনে আক্রান্ত হন।
তাদের মধ্যে ডাঃ উৎপলেন্দু বিশ^াস ও হাসপাতালের অফিস সহকারী জামাল উদ্দিনকে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
পৌরসভার অফিসপাড়া ও থানা এলাকায় করোনার আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মধ্যে একধরনের উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে।
বিশেষ করে যারা ডাক্তার উৎপলেন্দু বিশ্বাসের কাছে চিকিৎসা গ্রহণ করেছিলেন এবং হাসপাতালে অবাধ যাতায়াত ও হাসপাতালের পাশের অবস্থিত মা-মনি ও আজাদ ডায়গনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা সহ অন্যান্য পরীক্ষা করেছেন তারাও রয়েছেন উৎকন্ঠায়।
সর্বোচ্চ করোনায় কানাইঘাটে আক্রান্ত হন ঈদের দিন রাত ৮ জন। তারা হলেন, ফারইস্ট লাইফ ইন্সুরেন্স কানাইঘাট অফিসে কর্মরত সদর ইউপির নিজ চাউর দক্ষিণ গ্রামের আবুল কালাম, ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের তিনচটি নয়াগ্রামের নুরুল হকের পুত্র চট্টগ্রাম ফেরত গার্মেন্টস শ্রমিক জুবায়ের আহমদ, রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের খালপার গ্রামের সুনামগঞ্জ ফেরত ধানকাটা শ্রমিক আব্দুল খালিক।
গত তিনদিনে করোনায় আক্রান্ত অনেকের বয়স ২০-৩০ কোটায়। ঈদের দুইদিন আগে আক্রান্ত হন আরো ৭ জন। সব-মিলিয়ে এ পর্যন্ত উপজেলায় মোট আক্রান্ত ২১ জন হয়েছেন, তাদের মধ্যে ১ জন সুস্থ হয়েছেন।
হাসপাতালে এক ডাক্তার সহ কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় এবং হাসপাতালের আশপাশ এলাকায় করোনার প্রার্দুভাব দেখা দেয়ায় সচেতন মহল কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আশপাশ এলাকা লকডাউন করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবী জানিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বারিউল করিম খান বলেন, করোনার প্রার্দুভাব থেকে বাঁচতে হলে সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। প্রশাসন আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে মানুষকে সচেতন করার জন্য, কিন্তু করোনা একটি প্রাণঘাতি ও ছোয়াচে রোগ জানার পরও আমরা সচেতন হচ্ছি না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লকডাউন করা জেলা সিভিল সার্জনের একতিয়ার রয়েছে। তারা যদি মনে করেন হাসপাতাল লকডাউন দরকার তাহলে সেই আলোকে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কানাইঘাট নিউজ ডটকম/২৬ মে ২০২০
খবর বিভাগঃ
coronavirus
প্রতিদিনের কানাইঘাট
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়