কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
বিয়ানীবাজারের মাথিউরা ইউনিয়নের নালবহরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী দুই পরিবারের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে এক বৃদ্ধ খুন হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরো ১০-১২ জন।
বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে নিহত আব্দুর রউফকে (৬৫) গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট নেয়ার পথে মারা যান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবনী শংকর কর, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল হক এবং মাথিউরা ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সিহাব উদ্দীন।
জানা যায়, নিহত আব্দুর রউফের ঘরের আঙ্গিনায় প্রতিবেশী পরিবার কয়েছ আহমদ গংদের চাল থেকে বৃষ্টির পানি পড়তো। এ নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে রউফ আপত্তি দিলেও কয়েছ গংরা আমলে নেননি। বিষয়টি প্রতিবেশীদের অবহিত করার পরও কোন প্রতিকার পাননি নিহত রউফ। বুধবার বিকালে পুনরায় আপত্তি দিলে কয়েছদের সাথে বাগবিতণ্ডা ও হাতহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত আব্দুর রউফকে অজ্ঞান অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে সিলেটে প্রেরণ করেন। সিলেট যাওয়ার পথে তিনি মারা যান। স্বজনরা তাকে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিলে কর্তব্য চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সংঘর্ষে আব্দুল হামিদ (৬০), গোলাম কিবরিয়া শাওন (৩০), নাজিম উদ্দিন (৪৫) কয়েস আহমদ (৪০) আলীনুর (২২) ও রেদওয়ান আহমদসহ (১৩) উভয় পক্ষের ১০/১২ জন আহত হয়েছেন। আহতরা বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেটে চিকিৎসাধীন।
খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী শেষে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবনী শংকর কর বলেন, লাশের ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের স্বজনরা অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়