বিলেতে
বাংলাদেশী অনেকে রয়েছেন, যাদের মেধা, শ্রম, ত্যাগে দেশ, সমাজ ও জাতি
বিভিন্নভাবে উপকৃত হয়েছেন। বাংগালীর সন্মান, গৌরব ও আত্নমর্যাদা বৃদ্ধিতে
অগ্রণী ভুমিকা রেখে চলেছেন। বিলেতে সিলেট তথা বাংলাদেশের নাম আরোও উজ্জ্বল
করেছেন। সেইসব জ্ঞানী গুণিদের মধ্যে অন্যতম হলেন মোহাম্মদ আয়াছ মিয়া।
তিনি লন্ডন টাওয়ার হ্যামলেটস- এর সাবেক স্পিকার, বর্তমান কাউন্সিলর,
ক্রিস্টিয়াল ফাইন্যান্স-এর সত্ত্বাধিকারী, ওয়ান পাউন্ড হসপিটাল-এর ট্রাস্টি
ও ফাইন্যান্স ডিরেক্টর, হিউম্যান রাইটস এন্ড পীস ফর বাংলাদেশ ইউকে- এর
জেনারেল সেক্রেটারী।
কাউন্সিলর
মোহাম্মদ আয়াছ মিয়া বাংগালী জাতির একজন গর্বিত ও আলোকিত মানুষ।
বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী। নীতি, নৈতিকতা তার অনন্য সম্পদ। বরেণ্য
এই ব্যাক্তি তাঁর নিজের অক্লান্ত পরিশ্রম আর দক্ষতার মাধ্যমে নিজেকে এগিয়ে
নিতে সক্ষম হয়েছেন, সফলতার দ্বারপ্রান্তে।
বহুমাত্রিক
গুণাবলী ও বিরল স্বভাবের অধিকারী মোহাম্মদ আয়াছ মিয়া সকলের কাছের মানুষ,
অতি আপনজন। সর্ব মহলের মানুষ তাকে ভালোবাসেন, শ্রদ্ধাভরে দেখেন। তিনি
একজন নিষ্ঠাবান সংগঠক। একজন সৎ ও আদর্শবান রাজনীতিক, সমাজসেবকের যেসব
মৌলিক গুণ থাকা উচিত, তার সবই আছে তাঁর মধ্যে। সততা, ন্যায় পরায়ণতা,
কর্তব্যনিষ্ঠা , দৃঢ়তাই যে পারে সব বৈরিতার গন্ডি অতিক্রম করতে, এক্ষেত্রে
সফল ব্যাক্তি হিসেবে মোহাম্মদ আয়াছ মিয়া তারই বাস্তব প্রমাণ।
আমার
পরম শ্রদ্ধেয় ব্যাক্তি মোহাম্মদ আয়াছ মিয়ার সান্নিধ্যে কিছুক্ষণ ভালো
সময় কাটানোর সুযোগ হয়েছিলো এই বছরের শুরুতে। লন্ডনে ওয়ান পাউন্ড হসপিটালের
মতবিনিময় সভায় আমাকে প্রধান অতিথি করা হয়েছিলো। ওয়ান পাউন্ড হসপিটাল
ফ্রান্স এর চিফ কোঅর্ডিনেটর হিসেবে। আর এই অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য
রাখেন (যাকে নিয়ে এই লিখা, যাকে নিয়ে গর্ব করি) লন্ডনের টাওয়ার
হ্যামলেটস-এর সাবেক স্পীকার কাউন্সিলর, ওয়ান পাউন্ড হসপিটালের সেক্রেটারি
জেনারেল মোহাম্মদ আয়াছ মিয়া।
২৯
জানুয়ারী ২০২০ (বুধবার সন্ধ্যায়) ওয়ান পাউন্ড হসপিটাল ইউকের লন্ডনস্থ
প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ওয়ান পাউন্ড
হসপিটালের প্রধান উপদেষ্টা, প্রবীণ শিক্ষাবিদ, সমাজসেবী এম আবুল হাশেম
(বিএসসি)। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ওয়ান পাউন্ড হসপিটালের সিইও ডা. মোঃ
শানুর আলী মামুন। শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন ফাউন্ডার মেম্বার মোঃ
আব্দুল আহাদ। সভায় বক্তব্য রাখেন ওয়ান পাউন্ড হসপিটালের ডাইরেক্টর অব
মিডিয়া এন্ড পাবলিকেশন কাউন্সিলর শাহ সোহেল আমিন, ফাউন্ডার মেম্বার
লন্ডনের প্রবীণ সাংবাদিক দর্পণ ম্যাগাজিন সম্পাদক মোঃ রহমত আলী, ফাউন্ডার
মেম্বার মোঃ হাসন আলী, ফাউন্ডার মেম্বার মোঃ আব্দুল আহাদ, বিশিষ্ট
সমাজসেবি মোঃ মিসবাহ কামাল, ট্রান্সলেটর সৈয়দ জহুরুল হক, ইন্জিনিয়ার
মোহাম্মদ আতিকুর রহমান প্রমুখ।
উক্ত
সভায় প্রধান অথিতি হিসেবে আমাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন কাউন্সিলর শাহ সোহেল
আমিন। কোঅর্ডিনেটর সার্টিফিকেট প্রদান করেন উপদেষ্টা এম আবুল হাশেম।
বুকলেট প্রদান করেন সেক্রেটারি জেনারেল কাউন্সিলর মো. আয়াস মিয়া। এই
প্রোগ্রামের নেপথ্য ভুমিকা পালন করেন সিলেট লেখক ফোরামের সভাপতি, আমার
বন্ধু নাজমুল ইসলাম মকবুল। সেদিন মতবিনিময় সভায় এসকল জ্ঞানী গুণি
ব্যাক্তিদের মাঝে আমি ছিলাম প্রধান অতিথি। এ যেনো আমার জীবনের পরম পাওয়া।
এতে আমি অনেক আনন্দিত, অভিভূত হয়েছিলাম।
উল্লেখ্য,
চ্যানেল এস টেলিভিশনের সাংবাদিক আশরাফ আহমদ ভাই, আমাদের দুলাভাই আব্দুল
করিম বাহার এবং মারুফ আহমদ ভাইয়ার সাথে মধ্যাহ্ন ভোজ করে বার্মিংহাম থেকে
লন্ডনে গিয়ে মতবিনিময় সভায় নির্ধারিত সময়ে উপস্হিত হতে পারিনি। অনিচ্ছা
সত্ত্বেও প্রায় ঘণ্টা খানেক দেরি হয়েছিলো। বহু ব্যস্ততাার মাঝেও
মোহাম্মদ আয়াছ আলী সহ আমন্ত্রিত সুধী জনেরা আমার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন।
অবশেষে তিনির অফিসে গিয়ে যখন সালাম দিয়ে হাজির হলাম, ক্ষমা প্রার্থণা
করলাম। তখন আমাকে ওয়েলকাম বলে জড়িয়ে ধরলেন। বুঝতে আর বাকি রইলো না,
যতো বড় মাপের আদর্শ মানের মানুষ, ততো ধৈর্য বেশি। চমৎকার বন্ধু সুলভ
আচরণ। নম্র, ভদ্র ব্যাবহার, হাস্যজ্জল কথাবার্তা ইত্যাদি বৈশিষ্ঠ রয়েছে
তার মাঝে। আসলে তিনির কাছ থেকে শেখার আছে, অনেক কিছু।
নিরহংকারী,
পরোপকারি মোহাম্মদ আয়াছ আলী সেদিন নানান আলাপচারীতায় সিলেট অঞ্চলের
কয়েকজন প্রবীণ সাংবাদিক, সাহিত্যিক, লেখকদের স্মৃতি তুলে ধরলেন। অনেক
প্রশংসা করলেন। শোনে খুবই খুশি হয়েছিলাম। সেময় তিনির অফিসে আমি সহ
উপস্থিত সবাইকে চা, বিস্কুট নিজ হাতে বিতরণ করলেন। ওয়ান পাউন্ড হসপিটাল-এর
কয়েকটি ছবি সহ আমাকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি তাঁর ফেইসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস
দিয়েছিলেন।
আধ্যাত্মিক
অঞ্চল সিলেটের শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রসারেও সুদুর বিলেতে থেকে
বলিষ্ঠ ভুমিকা পালন করছেন। তিনি সিলেট লেখক ফোরামের উপদেষ্টা। সিলেটের
বিশ্বনাথ উপজেলার কৃতি সন্তান, বর্ণাঢ্য কর্ম জীবনের অধিকারী আয়াস মিয়া
নিজ মাতৃভুমিকে ভুলে যাননি। সময় সুযোগ পেলেই ছুটে যান গণমানুষের কাছে।
দেশ ও দশের জন্য সর্বদা খোঁজ খবর রাখেন। সাহায্য সহযোগিতার হাত প্রসারিত
করেন। বিত্ত্ব চিত্তের অধিকারী মোহাম্মদ আয়াছ মিয়া আপাদমস্তক একজন দেশ
প্রেমিক।
তিনি
সর্বদা খুবই অনাড়ম্বর জীবন যাপন করেন। ইতিমধ্যে একজন সুন্দর মনের মানুষ
হিসেবে তিনি "লন্ডন সিলেট বন্ধু" হিসেবে সকলের হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছেন।
তিনি অসংখ্য সামাজিক ও ব্যাবসায়ি সংগঠনের সাথে অতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছেন।
এতোসব কাজে রুটিন মাফিক সময় দিয়ে যাচ্ছেন নিরন্তরভাবে। আর একটু
ক্লান্তি, অবসাদ এই মানুষটিকে কাবু করতে এসে পাত্তা পাচ্ছে না।
বহু
বহুগুণে গুণান্বিত মোহাম্মদ আয়াছ মিয়ার এই অর্জন সমুহ আগামী প্রজন্মের
কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। তিনি তার এসব কল্যাণমুলক কর্মের মাধ্যমে
যুগ যুগ ধরে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবেন। আমি তাঁর সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘ
জীবন কামনা করি।
লেখক :
দেলওয়ার হোসেন সেলিম
সহ সভাপতি,
ফ্রান্স বাংলা প্রেসক্লাব ;
সম্পাদক, আদর্শ বার্তা।
মোবাইল +33753062778
ইমেইল : salim_dh1@yahoo.com
খবর বিভাগঃ
মতামত
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়